Thank you for trying Sticky AMP!!

মাগুরায় পাঁচ আসামির দুই দিন করে রিমান্ড

মাগুরায় ছাত্রলীগের গোলাগুলিতে মায়ের জঠরে শিশু গুলিবিদ্ধ ও একজন বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার পাঁচ আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বুধবার মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমতিয়াজুল ইসলাম ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন ফরিদ হোসেন (৩৫), মো. সাগর (২৩), ইলিয়াস হোসেন (৪৫) ও তাঁর ছেলে সোহেল রানা (২৫), এবং মো. লিটন (২৬)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমাউল হক আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, খুব দ্রুত তাঁদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আশা করি এ মামলার অভিযোগপত্রও অল্প সময়ের মধ্যে দাখিল করা সম্ভব হবে।

মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় গত ২৩ জুলাই বিকেলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির সময় আটমাসের অন্তঃসত্ত্বা নাজমা খাতুন (৩৫) তলপেটে গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিন রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গৃহবধূ গুলিবিদ্ধ কন্যাশিশু জন্ম দেন। গুলি পেটের শিশুকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেলে। প্রায় এক মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মা ও শিশু মাগুরায় ফিরে এসেছে। ওই ঘটনায় গুলি ও বোমার আঘাতে আহত নাজমার চাচাশ্বশুর মমিন ভুঁইয়া (৬৫) মারা যান। নিহত মমিন ভুঁইয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাকি ইমামের চাচা।

ওই ঘটনায় গত ২৬ জুলাই নিহত মমিন ভুঁইয়ার ছেলে রুবেল ভুঁইয়া জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সেন সুমনকে প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মী ও সমর্থক। চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি মাগুরা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। এ পর্যন্ত মামলার নয় আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া অন্যতম আসামি মেহেদী হাসান আজিবর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান।

ভালো আছে সুরাইয়া
মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ সুরাইয়া এখন ভালো আছে। মা নাজমা খাতুনের অবস্থাও ভালো। নাজমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুরাইয়ার শরীর এখন বেশ ভালো। আমরা মা-বেটি ভালোই আছি। এখনো প্রতিদিনই আমাদের দেখতে বাড়িতে মানুষ আসছেন। ঢাকা থেকে বাড়ি আসার পর মানুষের খুব ভিড় হতো। এখন ভিড় অনেকটা কমেছে। তবে তারপরও এমন কোনো দিন নেই যে মানুষ দেখতে আসে না।’