মাদারীপুরে মানব পাচার চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার
মাদারীপুরে মানব পাচার চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে তাঁদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার চার ব্যক্তি হলেন—ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগ গ্রামের মোস্তফা মালের ছেলে মো. আলাউদ্দিন মাল (২৪), রফিজুল ইসলাম মালের ছেলে দুলাল মাল (১৯), ফারুক মালের ছেলে রাসেল মাল (২০) ও রতন মালের স্ত্রী কুলসুম বিবি (৩৮)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পশ্চিম মিনাজদী গ্রামের মাজেদ শিকদারের ছেলে আল-মামুন শিকদার (২২) আট মাস আগে দালালের মাধ্যমে ইরাকে যান। ইরাকে যাওয়ার পর আশানুরূপ কাজ না পাওয়ায় ইরাকে অবস্থানরত দালাল রতন মালের ছেলে মিলন মালের কাছে কাজের খোঁজে যান মামুন। এ সময় মামুনকে আটক করে তাঁর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেন মিলন। মুক্তিপণের টাকা ভোলায় বসবাসকারী ছোট ভাই মঞ্জু মালের কাছে দেওয়ার জন্য বলেন তিনি। এ ঘটনায় ২৭ আগস্ট কালকিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মামুনের বাবা মাজেদ শিকদার। এরপর গতকাল মধ্যরাতে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগ গ্রামে অভিযান চালিয়ে মানব পাচার চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও মুঠোফোনের তিনটি সিম উদ্ধার করা হয়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি মানব পাচারকারী দল বাংলাদেশ থেকে ইরাকে কাজ করতে যাওয়া ব্যক্তিদের জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করে। ওই চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঞ্জু মাল পালিয়ে গেলে আমরা তাঁর মা-কে আটক করি। মঞ্জুকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।’
আরও পড়ুন
-
ঢাকাসহ ৫ জেলা: মাধ্যমিক কাল বন্ধ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলাই থাকছে
-
ঢাকাসহ ৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল–কলেজ কাল বন্ধ ঘোষণা
-
ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের নিয়ে দপ্তরে উপাচার্য, শিক্ষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি
-
সাবেক স্ত্রীর করা ৩ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান
-
কাজ না পেয়ে প্রকৌশলীর শার্টের কলার ধরলেন ঠিকাদার