Thank you for trying Sticky AMP!!

মানবিক সহায়তায় গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকতে বর্তমানে মানবিক সহায়তার বিষয়টিতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত। এ জন্য দেশটি এ পর্যন্ত বাংলাদেশে তিন দফা ত্রাণ পাঠিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার গত শুক্রবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন।

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারতের ব্যাপক ভূমিকা দেখতে চায় বাংলাদেশ। সমস্যা সমাধানে ভারত মধ্যস্থতা করবে কি না, শুক্রবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তা জানতে চাইলে রবীশ কুমার বলেন, ‘আমরা “অপারেশন ইনসানিয়াত”-এর আওতায় মানবিক সহায়তায় গুরুত্ব দিচ্ছি এবং এ পর্যন্ত তিন দফা ত্রাণ পাঠিয়েছি। কয়েক হাজার পরিবারের জন্য পাঠানো ওই সব ত্রাণের প্যাকেটে পরিবারের ব্যবহারসামগ্রী রয়েছে, যা বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লোকজন ব্যবহার করবে।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বাস্তুচ্যুত হয়ে লোকজন বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা সমন্বয়ের বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সব ধরনের সমর্থন দিচ্ছি।’

রাখাইনে হিন্দুদের ‘গণকবর’ নিয়ে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে কি না—জানতে চাইলে ভারত সরকারের মুখপাত্র বলেন, ‘গণকবর নিয়ে গণমাধ্যমের খবর আমরা দেখেছি। এ নিয়ে স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের বিবৃতিও দেখেছি। আমরা সব ধরনের সন্ত্রাসের নিন্দা জানাই। সংঘাতে বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার যে যৌক্তিকতা নেই, তার ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। আমাদের আশা থাকবে, কর্তৃপক্ষ এই অপরাধে জড়িতদের বিচার করবে। সেই সঙ্গে এটাও আশা করব, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের স্বার্থে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।’

সহিংসতাকবলিত রাখাইনে ৩ অক্টোবর মিয়ানমার সরকার আয়োজিত কূটনীতিকদের সফরে ভারত অংশ নিচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই সফরে ভারতের অংশগ্রহণ কী হবে, আর মিশন থেকে কোন পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব হবে, সেটা তাঁর জানা নেই। তবে ওই সফরে ভারতের কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীকে যুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই ব্রিফিংয়ের খবর প্রচার করতে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা স্পুটনিক শুক্রবার বলেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্য মধ্যস্থতার কোনো পরিকল্পনা ভারত সরকারের নেই। বার্তা সংস্থাটির দাবি, নিপীড়নের পর মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা মোকাবিলায় ভারত সরকার বাংলাদেশকে ‘শুধু’ মানবিক সহায়তা দেবে।

এর আগে রাখাইনে সহিংসতা বন্ধের জন্য ভারতকে তার প্রভাব খাটিয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল বাংলাদেশ।