Thank you for trying Sticky AMP!!

মানুষের বিবেকের ওপরে আঘাত করা হচ্ছে: সুলতানা কামাল

সুলতানা কামাল। ফাইল ছবি

মানুষের বিবেকের ওপরে আজ আঘাত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল। আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার যশোরের কেশবপুরে আঞ্চলিক দলিত সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুলতানা কামাল বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিচার ব্যতীত কাউকে জেলে নেওয়া যায় না। মানুষের বিবেকের ওপরে আজ আঘাত করা হচ্ছে। কথা বলার অধিকার হরণ করা হচ্ছে, এটা হতে পারে না। রাষ্ট্রে কোনো বৈষম্য থাকবে না। রাষ্ট্রের উচিত সবার অধিকার সমুন্নত রাখা।

দলিত সম্প্রদায়ের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে সব সময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, সব মানুষের সমান অধিকার ও সমান মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বসবাসের জন্য বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সমাজে বৈষম্য থাকলে রাষ্ট্রকে তা দূর করতে হবে।

দিবসটি উপলক্ষে দলিত পরিষদ ও পরিত্রাণ সংগঠনের উদ্যোগে কেশবপুর উপজেলার আবু শারাফ সাদেক অডিটরিয়ামে আলোচনা সভা ও ত্রিমোহিনী মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দলিত পরিষদের সদস্য তপন দাস। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দলিত পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি উদয় কৃষ্ণ দাস, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেশবপুর শাখার সভাপতি অসিত কুমার মোদক, সাধারণ সম্পাদক মিলন মিত্র, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের উপজেলা সহসভাপতি তপন কুমার ঘোষ, কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহিন, দলিত পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অশোক দাস, পরিত্রাণের নির্বাহী পরিচালক মিলন দাস, দলিত শিশু প্রতিনিধি মিনা দাসী। অনুষ্ঠানে মানবাধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সুলতানা কামালকে সম্মাননা ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

বক্তারা বলেন, সমাজে বৈষম্য দূর করতে হলে দলিত শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বৈষম্য বিলোপ আইন ২০১৫ পাস করতে হবে। অনুষ্ঠানে ‘জাতপাত নিপাত যাক, মানবতা মুক্তি পাক’ এই স্লোগান বারবার ধ্বনিত হয়েছে।