Thank you for trying Sticky AMP!!

মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবিতে আরও ২ লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

সেন্ট মার্টিনের অদূরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় ভাসমান অবস্থায় আরও দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সেন্ট মার্টিনের পশ্চিমপাড়া সৈকতের অবকাশ পয়েন্টে এই লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় এ নিয়ে ১৪ নারী, ৩ শিশু, ৪ পুরুষসহ ২১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের যাত্রীদের দেওয়া তথ্যমতে, এখনো ৪৪ জন নিখোঁজ।

উদ্ধার করা লাশের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাঁদের আনুমানিক বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর।

লাশ দুটি উদ্ধারের তথ্যের সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সেন্ট মার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাঈম উল হক।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে দক্ষিণে ছয় কিলোমিটার দূরে শীলেরকুমে নামক এলাকায় গত মঙ্গলবার ১৩৮ জন যাত্রী নিয়ে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি চালিয়ে শিশু, নারীসহ ১৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। জীবিত অবস্থায় ৭৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন রোহিঙ্গা নাগরিক। ওই সময় আরও ৫০ জনের নিখোঁজ থাকার কথা জানান অন্য যাত্রীরা।

পরে গত শুক্রবার এক নারী, শনিবার এক নারী এবং গতকাল রোববার দুই পুরুষের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ আরও দুজনের লাশ উদ্ধার হওয়া প্রসঙ্গে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, এর মধ্যে ওই এলাকা বা সাগরে কোনো ধরনের নৌকা বা ট্রলারডুবির ঘটনা না ঘটায় লাশ দুটি মালয়েশিয়াগামী ট্রলারের যাত্রী বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সেন্ট মার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাঈম উল হক বলেন, আজ সকাল সাড়ে নয়টায় দিকে সেন্ট মার্টিনের পশ্চিমপাড়া সৈকতের অবকাশ পয়েন্টে ভাসমান অবস্থায় আরও দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ট্রলারের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধার করা লাশ দুটি টেকনাফ থানার পুলিশের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক ও ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লিয়াকত আলী প্রথম আলো বলেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।