Thank you for trying Sticky AMP!!

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর সুযোগ চায় সব এজেন্সি

ফাইল ছবি

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর জন্য নতুন করে রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা তৈরির চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোট। দেশের রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকদের সমন্বয়ে গঠিত এ জোট বলছে, বৈধ সব এজেন্সিকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর সুযোগ দিতে হবে।

আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান জোটের আহ্বায়ক ও সাবেক বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী।

আগামীকাল সোমবার বেলা ১১টায় তাঁরা ইস্কাটনে প্রবাসীকল্যাণ ভবনের সামনে মানববন্ধন করবেন। এই মানববন্ধন শেষে তাঁরা প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের কাছে স্মারকলিপি পেশ করবেন।  

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো অন্য ১৩টি দেশ কোনো নির্দিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী পাঠায় না। সেখানে সব বৈধ এজেন্সিই কর্মী পাঠানোর সুযোগ পায়। অথচ আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশ–মালয়েশিয়া জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের অনলাইন সভায় কর্মী পাঠানোর জন্য এজেন্সির তালিকা চূড়ান্ত করার অ্যাজেন্ডা রাখা হয়েছে। সিন্ডিকেট করার সুবিধার জন্যই এ প্রস্তাব করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।

জোট নেতারা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এই অ্যাজেন্ডা বাদ দিয়ে বিদ্যমান ব্যবস্থায় অন্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশেরও সব এজেন্সিকে ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান। তাঁরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীরও হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান।

বায়রা সিন্ডিকেট নির্মূল ঐক্যজোট জানায়, ২০১৭-১৮ সালে ১০টি এজেন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২ লাখ ৫৯ হাজার কর্মী পাঠানো হয়। অথচ এতে ১৫ লাখ কর্মী পাঠানোর সুযোগ ছিল। সিন্ডিকেটের কারণে দেশ ও অন্য এজেন্সিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক বায়রা সভাপতি আবুল বাশার, জোটের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসেন, সদস্যসচিব টিপু সুলতান, সাবেক সহসভাপতি আবুল বারাকাত, ফরিদ আহমেদ, ফখরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হোসেন ও মজিবুর রহমান।