Thank you for trying Sticky AMP!!

মাস পেরিয়ে গেলেও করোনা পরীক্ষার ফল আসেনি ইমরানের

ব্যাংকের সবার সঙ্গে গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের সোনালী ব্যাংক শাখার ক্যাশিয়ার ইমরান হাবিব করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। গত ১ মে সন্ধ্যায় প্রাপ্ত ফলাফলে তিনি ও একই শাখার নিরাপত্তাকর্মীর করোনা শনাক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে ইমরান কমলগঞ্জে ভাড়া বাসায় সপরিবারে আইসোলেশনে রয়েছেন। চার দিন পর দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষায় তাঁর করোনা পজিটিভ আসে। এর ১০ দিন পর আবারও তিনি নমুনা পরীক্ষার জন্য দেন। কিন্তু এখনো সেই নমুনার ফল আসেনি।
দীর্ঘদিন ধরে আইসোলেশনে থেকে ইমরান হাবিবের মনোবল ক্রমে দুর্বল হয়ে পড়ছে। আজ রোববার এই প্রতিবেদক ফোন দিলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, একা থাকতে থাকতে তিনি ভরসা হারিয়ে ফেলছেন। মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। তাঁর সঙ্গে বা পরে অনেকেই নমুনা দিয়েও কয়েক দিনের মধ্যে ফলাফল পেয়েছেন। অথচ ১ মাসের বেশি সময় ধরে তিনি নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলেও ফলাফল আসছে না বলে আর কোনো সঠিক জবাব তাঁকে দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় তিনি চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।

সোনালী ব্যাংক কমলগঞ্জ শাখায় সিনিয়র স্টাফ ছমির উদ্দীন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, তাঁরা বুঝতে পারছেন না, এত দিনে কেন ইমরান হাবিবের ফলাফল আসছে না।
একই শাখার পিয়ন করোনাজয়ী দুলাল মিয়া বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়ার পর প্রথমেই সামাজিকভাবে হেয় হতে হয়। স্থানীয়ভাবে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। তিনি সুস্থ হয়ে আবার কাজে ব্যস্ত থাকায় এখন মানসিকভাবে চাঙা আছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এম মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া বলেন, স্বাস্থ্যবিধির কিছু নিয়ম আছে, তা খতিয়ে দেখে কীভাবে ইমরান হাবিবকে আইসোলেশন থেকে বের করা যায়, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।