Thank you for trying Sticky AMP!!

মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে এসে পুলিশ হেফাজতে দুজন

বিবাদী না হয়েও আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে ফেঁসে গেছেন নাজমুল হুদা ও লিপি আকতার নামের দুই ব্যক্তি। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতে এই ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যায় আদালত ওই দুজনকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। পারিবারিক আদালতের বিচারক ইশরাত জাহান এ আদেশ দেন। তবে বাদী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের পাওয়া যায়নি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হুদার বাড়ি কুমিল্লার হোমনা থানার সুবাসপুর গ্রামে। আর লিপি আকতারের বাড়ি দিনাজপুরের পীরগঞ্জ থানার আরজী লস্কর গ্রামে। সুবাসপুর গ্রামের মাহবুবর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা খানম তাঁদের দুই নাবালক সন্তান নাফরিন (১৬) ও মামনুরের (১২) অভিভাবক নিযুক্ত হন। এরপর তিনি নাবালক দুজনের নামে থাকা ঢাকার দক্ষিণখানের ৬ শতক জমি বিক্রির জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। তিনি মামলা পরিচালনার জন্য প্রয়াত স্বামীর বড় ভাই নাজমুল হুদাকে আমমোক্তারনামা (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি) দেন। গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আঞ্জুমান আরা খানম মামলাটি করেন। এতে নাসরিন মাহবুবকে বিবাদী করা হয়।
গতকাল আদালতে ওই বিষয়ে বাদী ও বিবাদীপক্ষ একটি আপসনামা জমা দেন। তবে উভয় পক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতের সন্দেহ হয়। আদালতের জেরার মুখে আঞ্জুমান আরা খানমের আমমোক্তার গ্রহীতা নাজমুল হুদা স্বীকার করেন, লিপি আকতারকে বিবাদী নাসরিন সাজিয়ে সাক্ষ্য দিতে এনেছেন। মামলার বাদী আঞ্জুমান আরা খানম আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন, মামলার বিষয় নিয়ে আপস-মীমাংসা হয়েছে। তবে কাউকে দিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে তিনি বলেননি।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল আপস-মীমাংসা হয়েছে মর্মে মামলাটি নিষ্পত্তির আবেদন করা হয়। কিন্তু ভুয়া ব্যক্তি দিয়ে সাজানো সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়টি আদালতের নজরে আসায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।