Thank you for trying Sticky AMP!!

মিরপুরে জমায়েত শেষ বিকেল চারটায়

নিরাপদ সড়কের দাবিতে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে আজ শনিবার টানা চতুর্থ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। প্রায় ছয় ঘণ্টা অবস্থানের পর বিকেল চারটার দিকে কর্মসূচি শেষ করে চলে যায় তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিকেলে পুলিশের সহায়তায় ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল। আগামীকাল রোববার সকালে একই স্থানে আবারও সমবেত হওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

আজ সকাল ১০টার পর গোলচত্বরে হারুন মোল্লা ট্রাফিক কন্ট্রোল বক্সের সামনে অবস্থান নেয় মিরপুর, ভাষানটেক, আগারগাঁও, তালতলা, মণিপুরসহ আশপাশের কয়েক শ শিক্ষার্থী। সড়কের চারপাশে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে গাড়ির কাগজপত্র ও গাড়ির লাইসেন্স যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে দুপুরের দিকে গোলচত্বর এলাকায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে জড়ো হলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে মিরপুর ১৩ নম্বরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ের কাছাকাছি শত শত শিক্ষার্থী কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। এ ছাড়া কয়েকটি দল গোলচত্বর অভিমুখী সংযোগ সড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশার চালকের লাইসেন্স পরীক্ষাসহ কাগজপত্র পরীক্ষা করতে থাকে। তবে শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি প্রয়োজনের গাড়িগুলোকে গোলচত্বর অতিক্রম করতে দেয়।

মিরপুর গোলচত্বরে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণাকারী এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলে, আজ সারা দিন নির্বিঘ্নে তারা গোলচত্বরে অবস্থান করে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বাধাও আসেনি। বরং তাদের সহায়তায় রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছিল শিক্ষার্থীরা। তবে বিকেল চারটার দিকে মিরপুর ১৪ নম্বর পুলিশ ব্যাটালিয়ন থেকে পুলিশ ও ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করেন।