Thank you for trying Sticky AMP!!

মূল সেতু নির্মাণে চীনা কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই

পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে রূপসী বাংলা হোটেলে বাংলাদেশের পক্ষে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক সফিকুল ইসলাম এবং চায়না মেজর ব্রিজের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান লিও জিমিং চুক্তিতে সই করেন।
এ সময় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, অর্থ প্রতিমন্ত্রী আবদুল মান্নান, সেতু বিভাগের সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান জামিলুর রেজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি সইয়ের পর যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, খুব শিগগির দেশের মানুষ পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান বাস্তবতা দেখতে পাবে। ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে।
চায়না মেজর ব্রিজের সঙ্গে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। আগামী চার বছরের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি মূল সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করবে। এরপর এক বছর রক্ষণাবেক্ষণ সময়। ওয়ারেন্টি এর পরের এক বছর। এই এক বছরে সেতুর কোনো সমস্যা হলে তা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেখবে। অবশ্য বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই কোম্পানি দুই বছরের ওয়ারেন্টি দিয়েছিল।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে এর খঁুটিনাটি তথ্য সরবরাহ করা হয়। সেই তথ্যমতে, চুক্তিমূল্যের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ এক হাজার ৮২০ কোটি টাকা চলতি মাসেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অগ্রিম দেওয়া হবে। এর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক হাজার ২১৩ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিয়েছে সেতু বিভাগে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ঠিকাদার যন্ত্রপাতি আনা শুরু করবে বলে সেতু বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে।
মূল সেতুর চূড়ান্ত দরপত্রে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও একমাত্র চায়না মেজর ব্রিজ আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়। ফলে একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের দেওয়া প্রস্তাবই গ্রহণ করে সরকার।
সর্বশেষ সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুসারে পদ্মা সেতুর মোট ব্যয় ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে সব কাজের ঠিকাদার নিয়োগ সম্পন্ন হলে এর ব্যয় পাঁচ থেকে ছয় হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ পাঁচটি বড় অংশে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—মূল সেতু, নদী শাসন, দুই পাড়ে দুটি সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও নির্মাণ অবকাঠামো তৈরি (সার্ভিস এলাকা)। এর মধ্যে মূল সেতু, সংযোগ সড়ক ও নির্মাণ অবকাঠামো তৈরির ঠিকাদার নিয়োগ হয়ে গেছে। এই চারটি কাজের জন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। নদী শাসনের ঠিকাদার নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে। আজ বুধবার নদী শাসনের চূড়ান্ত দরপত্র খোলার দিন ধার্য আছে।
প্রকল্পের খরচের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ, নদীভাঙন প্রতিরোধ কাজ, তিনটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা রয়েছে।