Thank you for trying Sticky AMP!!

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ৩৪%

২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পাসের হার প্রায় ৩৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিলনায়তনে গতকাল রোববার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন। 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাসের হার আরও বেশি হলে ভালো হতো। এটি তো আমাদের হাতে নেই। ছাত্রছাত্রীরা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে।’
বর্তমান পদ্ধতি অনুযায়ী এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল মিলিয়ে অন্তত জিপিএ ৮ থাকলে মেডিকেলে ভর্তির আবেদন করা যায়। এরপর পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পান। এ বছর এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৬৬ হাজার ৯৮৭ জন অংশ নেন, পাস করেন ২২ হাজার ৭৫৯ জন। তবে ২৯টি সরকারি মেডিকেলে আসনসংখ্যা তিন হাজার ৬৯৪। এর বাইরে ৫৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা ৫৩২৫টি। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধাক্রম অনুযায়ী ৮০ শতাংশ এবং জেলা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও আদিবাসী কোটায় ২০ শতাংশ ভর্তি হবেন।
মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৮১ দশমিক ৫ ও সবশেষ পরীক্ষার্থী পেয়েছে ১৫৮ দশমিক ২৫। ভর্তিপ্রক্রিয়া ৩০ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে www.dghs.gov.bd ফলাফল পাওয়া যাবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০। পাস নম্বর পাননি এমন ছাত্ররা বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্যসচিব এম নিয়াজউদ্দিন সুস্পষ্টভাবে কোনো উত্তর দেননি। যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মান তদন্ত করে দেখা হচ্ছিল সেগুলোর ব্যাপারেও তাঁরা কিছু বলেননি। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্তাধীন মেডিকেল কলেজের ব্যাপারে মাননীয় মন্ত্রী জানেন। তদন্ত শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনিই বলবেন।’
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে পাস নম্বর শিথিল করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার মানের কথা বলছে। দেখা যাক এ ক্ষেত্রে কী হয়। আলাপ-আলোচনার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’
বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ফি নির্ধারণের ব্যাপারে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান স্বাস্থ্যসচিব। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তি ফি কেন ১০ লাখ টাকা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘সেনাবাহিনী সরকারের, কিন্তু তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো অটোনমাসের (স্বায়ত্তশাসিত) মতোই পরিচালনা করে থাকে।’
এদিকে এবার ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ায় এবং পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টার বন্ধ ও পরীক্ষার হলে ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, কম্পিউটার, মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার মতো উদ্যোগ নেওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো নাসিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছে চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।