Thank you for trying Sticky AMP!!

মেলায় সরগরম ছিল ক্যাম্পাসও

ফাইল ছবি

প্রতিবছর বই মেলার পাশাপাশি সরগরম হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বইমেলা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসে নতুন-পুরোনো শিক্ষার্থী। টিএসসির সবুজ চত্বরে ভিড়ও বাড়ে।

বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, তাঁদের হল মূল ক্যাম্পাস থেকে একটু দূরে। এ কারণে টিএসসি ও বাংলা একাডেমিতে খুব বেশি আসা হয় না। কিন্তু বইমেলা শুরু হলে তাঁরা যান। না হলে অপূর্ণতা থেকে যায়।

বইমেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আড্ডায় মেলায় আসা বই নিয়ে আলোচনা চলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, তাঁদের আড্ডার মেলায় প্রকাশিত নতুন বই। কোন কোন লেখকের বই বেশি সংগ্রহে রাখবেন, কিছু মিস করলেন কি না ইত্যাদি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের প্রাক্তন কিছু শিক্ষার্থী জানান, বইমেলায় তাঁরা আবার একসঙ্গে হয়েছিলেন। ফিরে গিয়েছিলেন ক্যাম্পাসের দিনগুলোয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাঁরা একই সঙ্গে হলে থাকতেন। এখন চাকরির প্রয়োজনে একেকজন একেক জায়গায় থাকেন। একুশে বইমেলায় তাঁরা চেষ্টা করেন হাজারো ব্যস্ততাকে পেছনে ফেলে একসঙ্গে মেলায় আসতে।

মেলায় আসা দর্শনার্থীরা বলেন, এবার বইমেলা জমেছিল ভালো। টিএসসি, হাকিম চত্বর, কলাভবন, মধুর ক্যানটিন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বসেছিল নতুন-পুরোনো শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা।

৮টি ব্রেইল বই প্রকাশিত
কদিন আগেই শেষ হয়ে গেল অমর একুশে গ্রন্থমেলা। প্রতিবারের মতো এবারও ছিল ব্রেইল প্রকাশনা। এ বছর ব্রেইল আটটি বই প্রকাশ করেছে। এগুলোর মধ্যে রামেন্দু মজুমদারের ‘আমার সজল’, নাজিয়া জাবিনের ‘তরু শিশুতোষ’, ‘লুইস ব্রেইলের বায়োগ্রাফি’, ইমদাদুল হক মিলনের ‘ভালোবাসার সুখ দুঃখ’, নীলিমা ইব্রাহিমের ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’, ফারাহ সাঈদ ও রহল্লা মাহফুজ জয়ের ‘পৃথিবীর পথে পথে স্পর্শছুরি’ প্রভৃতি। লেখক নাজিয়া জাবিন বলেন, ‘আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নই। দৃষ্টিজয়ী।’