Thank you for trying Sticky AMP!!

মোটরসাইকেল ধাক্কা খেল গাছে, নিহত দুলাভাই-শ্যালক

তিন মাস আগে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। জামাইকে ১০ দিন আগে একটি মোটরসাইকেল দিয়েছেন। আজ বুধবার ঈদের দিন সকালে সেই মোটরসাইকেলে দুই শ্যালককে বসিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরের ফিরছিলেন জামাই বিপ্লব হোসেন (২৩)। পথে মহেশপুরের হামিদনগর (খর্দ্দখালিশপুর) গ্রামের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই বিপ্লব হোসেন ও তার শ্যালক রানা হোসেন (১২) নিহত হন। আহত হয়েছে আরেক শ্যালক ফিরোজ হোসেন (১৫)। তাকে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বিপ্লব হোসেন কোটচাঁদপুর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের আবদুল আলিমের ছেলে। তাঁর শ্যালক রানা চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে, বিপ্লবের স্ত্রীর চাচাতো ভাই ফিরোজ হোসেন।

জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, বিপ্লব হোসেন রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তাঁর বাবা আবদুল আলিমের একমাত্র ছেলে তিনি। তাঁর আরেকটি ছোট বোন আছে। তিনি জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিপ্লব হোসেন রায়পুর গ্রামের আসাদুল ইসলামের মেয়ে লাবণী আক্তারকে (১৮) বিয়ে করেন। ১০ দিন আগে শ্বশুর শখ করে একটি মোটরসাইকেল দিয়েছেন। আজ ঈদে বিপ্লব তাঁর শ্বশুরবাড়িতে যান। সকালে ঈদের নামাজ পড়ে খাওয়া সেরে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেলে আবারও শ্বশুরবাড়িতে ফিরবেন, তাই সঙ্গে নেন দুই শ্যালককে।

শহিদুল ইসলাম আরও জানান, সকালে হালকা বৃষ্টিতে রাস্তা কিছুটা পিচ্ছল ছিল। এ সময় মহেশপুর উপজেলার হামিদনগর (খর্দ্দখালিশপুর) গ্রামের মধ্যে একটি বাঁকে দ্রুতগতিতে ঘোরাতে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই বিপ্লব ও রানা মারা যান। গুরুত্বও আহত অবস্থায় ফিরোজকে প্রথমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী কামাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছেন। তাঁরা শ্যালক-দুলাভাই।