Thank you for trying Sticky AMP!!

ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই অভিযোগপত্র

বহুজাতিক কোম্পানির কর্মী রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই অভিযোগপত্র জমা দেবে পুলিশ। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আজ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে রূপা ধর্ষণ ও হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে আজ মানববন্ধন করেছেন টাঙ্গাইলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এই ধর্ষণ ও হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, রূপাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচ আসামির সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং তাঁরা সবাই নিজ নিজ দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিদের কাছ থেকে রূপার মুঠোফোন উদ্ধার হয়েছে। তা ছাড়া তাঁদের দেখানো জায়গা থেকে রূপার ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহের কাজও প্রায় শেষ। এখন কোন আইনে কোন ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হবে, সে দিকগুলো দেখা হচ্ছে। আইনগত বিষয়গুলো নিয়ে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে। তারপর শুধু ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা অভিযোগপত্র দেওয়ার চেষ্টা করছি।
রূপা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বেলা ১১টায় শহরের নিরালার মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। মানববন্ধনে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন-অর-রশীদ, জেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান খান, সরকারি সাদত কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক কুশল ভৌমিক, নাট্যকর্মী সাম্য রহমান, মানবাধিকার কর্মী মাহমুদা শেলী, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জেবুন্নেছা চায়না, সাবেক ছাত্রনেতা আবদুর রৌফ প্রমুখ বক্তব্য দেন। রূপা হত্যার বিচারের দাবিতে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।