Thank you for trying Sticky AMP!!

যশোরের দুটি উপজেলায় বাড়িতে লাল পতাকা, হোম কোয়ারেন্টিন স্টিকার

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে যশোরের শার্শা ও মনিরামপুর উপজেলায় বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল পতাকা ও হোম কোয়ারেন্টিন স্টিকার লাগানো হচ্ছে।

শার্শা উপজেলার বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হচ্ছে। শার্শা উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপজেলার বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যে উপজেলার ২৪৫ জন বিদেশফেরত ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে।
এদিকে মনিরামপুর উপজেলায় বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের বাড়িতে 'হোম কোয়ারেন্টিন' স্টিকার সাঁটানো হচ্ছে। মনিরামপুর থানা-পুলিশ উপজেলার বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব স্টিকার সাঁটছে। উপজেলায় ইতিমধ্যে ১২৭ জন বিদেশফেরত ব্যক্তির বাড়িতে স্টিকার সাঁটানো হয়েছে।
শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হোসেন আলী বলেন, 'আমার ইউনিয়নের ১৯ জন বিদেশফেরত ব্যক্তির বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। গত ১০ দিন ধরে আমরা এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ভারতসহ বিদেশ থেকে যাঁরা গ্রামের বাড়িতে আসছেন, আমরা খবর পাওয়ার পর সেই বাড়িতে গিয়ে লাল পাতাকা টাঙিয়ে দিয়ে আসছি। তাঁরা যেন সেদিন থেকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকেন, তা কঠোরভাবে মেনে চলতে বলেছি।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মণ্ডল বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপজেলায় ১১টি ইউনিয়ন এবং ৯৯টি ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদেশফেরত ব্যক্তির বাড়ির সামনে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৪৫ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তাঁদের বাড়ির সামনে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
অপরদিকে মনিরামপুর উপজেলায় বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়ির দেয়ালে হোম কোয়ারেন্টিন স্টিকার সাঁটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্টিকারে বড় অক্ষরে লাল কালিতে লেখা আছে 'হোম কোয়ারেন্টাইন'। নিচে বামপাশে পুলিশের মনোগ্রাম। পাশে অপেক্ষাকৃত ছোট হরফে লেখা, মনিরামপুর থানা, যশোর। স্টিকারের নিচের অংশে ওই ব্যক্তির দেশে ফেরার ও কোয়ারেন্টিনে থাকার সময়সীমা দেওয়া আছে। দেশে আসা ব্যক্তিকে সেই সময়সীমা মেনে চলতে কঠোরভাবে বলা হচ্ছে।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতকর্তামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলায় বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিন স্টিকার লাগানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত উপজেলার ১২৭ জন বিদেশফেরত ব্যক্তির বাড়িতে স্টিকার লাগানো হয়েছে। উপজেলার যে ব্যক্তি বিদেশ থেকে ফিরে আসবেন, তাঁর বাড়িতেই এ স্টিকার লাগানো হবে।