যশোরে পানিতে ডুবে যমজ ভাইসহ তিন শিশুর মৃত্যু
যশোরে পৃথক দুই ঘটনায় পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুই বছরের যমজ দুই সহোদর আছে। আজ বুধবার সকালে চৌগাছা উপজেলায় এবং দুপুরে অভয়নগর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া তিন শিশু হলো আমির হামজা (৬), মো. হাসান (২) ও মো. হোসাইন (২)। মো. হাসান ও মো. হোসাইন যমজ ভাই। আমির হামজা চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের মাঠ-চাকলা গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে। হাসান ও হোসাইন অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের সিদ্দিপাশা গ্রামের আবদুল মাজেদ শেখের ছেলে।
আমির হামজার চাচা জোহর আলী জানান, আজ সকালে আমির হামজা ও মো. শিশির (৭) চৌগাছা উপজেলার মাঠ-চাকলা গ্রামের বাড়ির পাশে বিলের পানিতে খেলছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তারা বিলের মধ্যে একপাশে খুঁড়ে রাখা গর্তে পড়ে ডুবে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আমির হামজাকে মৃত ঘোষণা করেন। অসুস্থ হয়ে পড়া শিশিরকে যশোর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে মাঠ-চাকলা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে।
হাসান ও হোসাইনের চাচা হাফিজুর রহমান শেখ জানান, আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা গ্রামে বাড়ির উঠানে খেলছিল হাসান ও হোসাইন। তাদের বাবা আবদুল মাজেদ শেখ এ সময় মাঠে কাজ করতে গিয়েছিলেন। মা বাড়ির পাশে সিদ্ধ করা ধান শুকাচ্ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা খেলতে খেলতে উঠানের পাশের গর্তের পানিতে পড়ে যায়। শিশু দুটিকে উঠানে দেখতে না পেয়ে তাদের মা খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি গর্তের পানিতে শিশু দুটিকে ভাসতে দেখেন। এরপর প্রতিবেশীদের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে বেলা পৌনে একটার দিকে তারা মারা যায়।
আরও পড়ুন
-
স্কুল, মাদ্রাসায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের
-
প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ
-
আগামীকালও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়
-
সামান্য রদবদলে নতুন টেলিযোগাযোগ আইনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় পালা বন্ধ হচ্ছে, শাখা ক্যাম্পাস হবে আলাদা প্রতিষ্ঠান