Thank you for trying Sticky AMP!!

যশোরে শিশু হত্যার দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

যশোর সদর উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের শিশু ইমরান হোসেন (১১) হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার যশোর বিশেষ জজ (জেলা জজ) আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসেন এ আদেশ দেন।

সাজা পাওয়া আসামিরা হলেন যশোর সদর উপজেলার শ্রীপর্দ্দী গ্রামের মো. সবেদুল ও মো. আবদুল হাকিম।

আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম বদরুজ্জামান পলাশ বলেন, হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকায় আদালত সাবেদুল ও হাকিমকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। সবেদুল জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালের ২৪ এপ্রিল ঘোড়াগাছা গ্রামে ভৈরব নদের তীর থেকে শিশু ইমরান হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ইমরানের নানা হায়াত আলী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় সবেদুল, হাকিমসহ চারজনকে আসামি করা হয়। পুলিশের অভিযোগপত্রে চার আসামিকেই অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তবে সবেদুল ও হাকিম বাদে হত্যাকাণ্ডে অন্য দুজনের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁরা খালাস পেয়েছেন।

অভিযোগপত্রে হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, শিশু ইমরানের বাবা আনছার আলীর সঙ্গে তার মা কোহিনুর বেগমের তালাক হয়। পরে কোহিনুর ছেলেকে নিয়ে ঘোড়াগাছায় বাবার বাড়িতে থাকতেন। এ সময় শ্রীপর্দ্দী গ্রামের সবেদুলের সঙ্গে কোহিনুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে কোহিনুর ইমরানকে নিয়ে সবেদুলের বাড়িতে ওঠেন। ছেলেকে কাছে রাখা সবেদুলের পছন্দ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে কোহিনুর ছেলেকে নিয়ে আবার বাবার বাড়িতে চলে যান। এ সময় ‘পথের কাঁটা’ হিসেবে ইমরানকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সবেদুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ইমরান একদিন মাঠে খেলতে গেলে সবেদুলের সহযোগী হাকিম তাকে ডেকে নদের তীরে নিয়ে যান। একপর্যায়ে সবেদুল আর হাকিম মিলে ইমরানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।