Thank you for trying Sticky AMP!!

যাত্রীবাহী লঞ্চটির তলা হঠাৎ ফেটে গেল

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে লালমোহনগামী যাত্রীবাহী একটি লঞ্চের তলা ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এমভি গ্লোরি অব শ্রীনগর-২ নামের লঞ্চটির চালক দ্রুত সেটিকে নদীর একটি পাড়ে উঠিয়ে দেওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় প্রায় ৫০০ যাত্রী। তবে লঞ্চটি সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার দশানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

লঞ্চচালকের দাবি, বালুবাহী একটি বাল্কহেডের (জাহাজ) ধাক্কায় লঞ্চটির তলা ফেটে যায়। তবে পুলিশের ভাষ্য, বাল্কহেডের ধাক্কার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহনের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন দুর্ঘটনার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধার করে রাত ১২টার দিকে অপর একটি লঞ্চে উঠিয়ে দেয়। তবে ওই লঞ্চের ডেকে কয়েক লাখ টাকার মালামাল রয়ে গেছে।

পুলিশের ধারণা, লঞ্চটি পুরোনো ছিল। ঘটনার সময় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল থাকায় তলা ফেটে যায়।

তিনতলাবিশিষ্ট ওই লঞ্চের চালক (মাস্টার) নূরে আলম জানান, লঞ্চটিতে ৩০০ যাত্রী ছিল। মালামালের মধ্যে কিছু ভুসা ও কাঁচামাল ছিল। রাতের অন্ধকারে ঢাকামুখী বালুবাহী বাল্কহেড তাঁদের লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে এর তলা ফেটে যায়। তিনি তাৎক্ষণিক দ্রুত লঞ্চটি একটি পাড়ে নিয়ে ঠেকিয়ে দেন। এতে সব যাত্রী ও লঞ্চটি ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়। তিনি জানান, বালুবাহী বাল্কহেডে কোনো আলো ছিল না।

দুর্ঘটনার বিষয়ে মোহনপুর নৌ পুলিশের ওসি মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কার কোনো প্রমাণ পাইনি। অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামালের কারণে পুরোনো লঞ্চটির তলা ফেটে যেতে পারে।’

তবে ওই লঞ্চের যাত্রীদের অনেকে অভিযোগ করেন, মোহনপুর থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় শত শত ড্রেজার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। এ কারণে সেখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।