Thank you for trying Sticky AMP!!

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন অগ্রহণযোগ্য: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় আ.লীগের বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে ও অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার শুরুতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, নির্যাতন, নির্বিচারে বা বেআইনিভাবে আটক, সভা-সমাবেশে বাধানিষেধসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে এ দেশে। নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক দায়মুক্তির সংস্কৃতি বিদ্যমান রয়েছে বলেও বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। যদিও বিচারবহির্ভূত হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও বিচারে সরকারের পদক্ষেপ সামান্য।

এই প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা মনে করি এই প্রতিবেদন একপেশে, যাদের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, সেসব সংগঠন ইতিপূর্বেই বাংলাদেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ইদানীং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট আমরা একপেশে দেখতে পাচ্ছি। অ্যামনেস্টি বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যেখানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য বাংলাদেশের মানুষ সোচ্চার। যে অ্যামনেস্টি গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, তাদের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রিপোর্ট সেটি গ্রহণযোগ্য নয়। যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের রিপোর্ট বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। সুতরাং আমরা কোনোভাবেই এ রিপোর্টকে গ্রহণ করতে পারি না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কী পরিস্থিতি, সেটিও বিশ্ববাসীর জানার প্রয়োজন রয়েছে, জানার অধিকার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ বছরের প্রথম দিন নানাভাবে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে বহু মানুষ হতাহত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিনা ওয়ারেন্টে অনেক মানুষকে গ্রেপ্তার করে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক চমৎকার। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে দুটি দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের এই কার্যক্রম আরও সুদৃঢ় করতে চাই।’