Thank you for trying Sticky AMP!!

রংপুর-৩ উপনির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠার কারণ নেই: সিইসি

সিইসি কে এম নুরুল হুদা। প্রথম আলাে ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, রংপুর-৩ উপনির্বাচন নিয়ে উৎকণ্ঠার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের পরিবেশ- পরিস্থিতি ভালো আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজন, তার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আজ সোমবার দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে রংপুর-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা-বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের সিইসি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর।

সিইসি বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী, তাদের সমর্থক, জনগণ ও ভোটারদের মধ্যে আন্তরিকতা আছে। সেখানে প্রশাসনের সব মহলের নজরদারি আছে। নির্বাচনে কোনো অসুবিধা হবে না। এ কারণে নতুন কিছু বলারও কিছু দেখছি না।’

হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘পূজা যেন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হতে পারে, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ নিয়ে পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা তাদের বুঝিয়েছি। আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। কেননা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হচ্ছে।’

ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এর আগে রংপুর সদর উপজেলার নির্বাচন হয়েছে। সেখানে কোনো অভিযোগ ছিল না। ইভিএম পরীক্ষিত একটি পদ্ধতি। কম পরিশ্রমে, কম সময়ে নির্বাচন করা সম্ভব। জাতীয় নির্বাচনেও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে, সেভাবেই এগোনো হচ্ছে। ইভিএমে কোনো ত্রুটি নেই, কোনো অনিয়ম নেই।

রংপুরে এর আগের নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে অনেক সময় লেগেছে, যন্ত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘মেশিনে ত্রুটি হতেই পারে। সেটি মেরামত করে আবার ভোটগ্রহণ হয়েছে। এটা মেনে নিতে হবে। সর্বোচ্চ রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ভোটের ফল পাওয়া যাবে।’

এই নির্বাচনে জনগণের আস্থা কতটুকু আছে—এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘আমি আশা করব, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোট দিতে আসবেন। কেউ বাধা দিতে পারবে না। কেউ বাধা দিলে ওই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত র‌্যাব, পুলিশদের সহযোগিতায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই নির্বাচনে সব প্রার্থী সমান অধিকার পাবে, এটি নিশ্চিত করে বলতে পারি।’