Thank you for trying Sticky AMP!!

রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে হালকা যান চলাচল শুরু

রাঙামাটি–মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের ধসে পড়া অংশে মাটি ফেলে ছোট যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল খুলে দেওয়া হয় সড়কটি। ছবিটি রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়ি ইউনিয়নের মোনতলা কিজিং এলাকা থেকে সন্ধ্যায় তোলা l সুপ্রিয় চাকমা

রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধসে বিধ্বস্ত রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক অবশেষে সচল হয়েছে। দীর্ঘ ৩৩ দিন যান চলাচল বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার থেকে সড়কটি হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনার আট দিন পর রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কটি হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর ২৪ জুন রাঙামাটি-আসামবস্তি-কাপ্তাই ও রাঙামাটি-ঘাগড়া-কাপ্তাই সড়ক দুটি সচল হয়।

গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রাঙামাটি শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে মোনতলা কিজিং এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মাটি দিয়ে ভাঙন ভরাট করে কোনো রকমে হালকা যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যান চলাচল উদ্বোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার। এ সময় রাঙামাটি কার্যালয়ের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৩ জুন ভয়াবহ পাহাড়ধসের ঘটনায় রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কের কিছু অংশ মাটিচাপা পড়ে। এর মধ্যে খামারপাড়া এলাকার ১৬ কিলোমিটার ও মোনতলা কিজিং এলাকার ১৮ কিলোমিটার অংশ দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত তিন জুলাই ১৬ কিলোমিটার অংশটি মাটি ভরাট করে হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে খামারপাড়া ও মোনতলা কিজিং এলাকার মাঝামাঝি স্থানে সড়ক থেকে মাটি সরানো হয়। গত ১২ জুলাই থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা ১৮ কিলোমিটার অংশের ভাঙন মেরামত শুরু করেন। গতকাল রোববার বিকেলে কাজ শেষ হলে সড়কে হালকা যান চলাচল শুরু হয়।

এই সড়কে অটোরিকশা নিয়ে আসা চালক সোনারাম চাকমা বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো রকমে মাটি দিয়ে ভরাট করে সড়কটি ছোট যান চলাচলের জন্য উপযোগী করেছে। রক্ষা দেয়াল না থাকায় বৃষ্টি হলে সব মাটি সরে যাবে। যেকোনো সময় আবারও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

রাঙামাটির সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু মূছা বলেন, দীর্ঘদিন কাজ করার পর আজ (গতকাল) থেকে রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কটি হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত মাটি দিয়ে ভরাট করে কোনো রকমে হালকা যান চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এরই মধ্যে ভারী যান চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলতে থাকবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি নেই, সে জন্য এত দিন সময় লেগে গেল। তারপরও আমরা ভাড়া করে দুটি খননযন্ত্র ও একটি পাহাড় কাটার যন্ত্র ও পাঁচটি ট্রাক দিয়ে কাজ করেছি।’