Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজনীতি না করেও আসামি?

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় নাশকতার মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একটি ব্যবসায়ী পরিবারের দুজনকে আসামি করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন গৌরীপুর পৌর শহরের উত্তর বাজার এলাকায় একাধিক গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে।

ব্যবসায়ী পরিবারটির দাবি, তাঁদের পরিবারের কোনো সদস্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁরা ব্যবসায়ী হিসেবেই পরিচিত। সম্প্রতি গৌরীপুর উপজেলায় ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মসজিদ নির্মাণের জন্য স্বেচ্ছায় জমি বিক্রি না করায় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে। এর জেরে পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে তাঁদের মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলায় ব্যবসায়ী পরিবারটির দুই আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া ও তাঁর ভাতিজা মো. আলী ওরফে রাজু। দুজনই উচ্চ আদালতে থেকে জামিন পেয়েছেন।

আলী ভূঁইয়া বলেন, উপজেলা ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মসজিদ নির্মাণের জন্য গৌরীপুর পৌর শহরের উত্তর বাজার এলাকায় তাঁদের পরিবারের জমি অধিগ্রহণ করতে চায় সরকারি কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জমিটি বিক্রি করতে ইচ্ছুক নন। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। জমিটি স্বেচ্ছায় বিক্রি না করা এবং আইনের দ্বারস্থ হওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি নানাভাবে তাঁদের পরিবার নিয়ে কটূক্তি করছেন। ওই ব্যক্তিরাই পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে নাশকতার মামলায় তাঁদের আসামি করিয়েছেন।

আলী ভূঁইয়ার ভাষ্য, মামলায় নাশকতার ঘটনায় যে তারিখ ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে, ওই তারিখে ওই সময়ে তিনি ও তাঁর চাচা মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া গৌরীপুর পৌর শহরের মধ্য বাজারে তাঁদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ছিলেন। 

মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ জামাল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ব্যবসায়ী পরিবারটির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেখবেন।

মামলার আসামি উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৩ জন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তবে মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া ও আলী ভূঁইয়া কোনো দিন বিএনপির রাজনীতি করেননি।