Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজশাহীতে ট্রেন চলাচল বন্ধ

শুক্রবার থেকে এক সপ্তাহ রাজশাহীতে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকছে

রাজশাহী মহানগরে লকডাউন দেওয়ায় দেশের উত্তরের এই জনপদে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আম পরিবহনের জন্য চালু করা বিশেষ ট্রেন চলাচলও বন্ধ হচ্ছে কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর জানানো হয়। তার মধ্যে সবচেয়ে রোগী শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী জেলায়, ৩৫৩ জন।

এই পরিস্থিতি রাতে স্থানীয় প্রশাসনের জরুরি সভায় শুক্রবার থেকে এক সপ্তাহ রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ ঘোষণা দেওয়া হয়।

সভা শেষে বিভাগীয় কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল ৫টা থেকে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় জরুরি ওষুধ ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন পরিষেবা বাদে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।

Also Read: রাজশাহী নগরে শুক্রবার বিকেল থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’

এরপর রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল এক সপ্তাহ রাজশাহীতে ট্রেন চলাচল বন্ধের কথা জানায়। তাদের এক ঘোষণায় বলা হয়, ঢাকা–রাজশাহী রুটে চলাচলকারী পদ্মা এক্সপ্রেস ও বনলতা এক্সপ্রেস, রাজশাহী–চিলাহাটি রুটের তিতুমীর এক্সপ্রেস, রাজশাহী–বীমুসিই রুটের বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস এবং রাজশাহী–ঢালারচর রুটের ঢালারচর এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।

বাতিল করা হয়েছে মেইল ট্রেন চলাচলও। এগুলো হলো, রহনপুর–খুলনা–রাজশাহী রুটে চলাচলকারী মহানন্দা এক্সপ্রেস এবং পার্বতীপুর–রাজশাহী রুটের উত্তরা এক্সপ্রেস।

তবে আম পরিবহনের জন্য চালু হওয়া ‘ম্যাঙ্গো ট্রেন’ চলাচল বাতিলের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বলে রাজশাহী রেল স্টেশনের ম্যানেজার আব্দুল করিম জানিয়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতি উত্তরাঞ্চলে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রেনের রুট সংক্ষিপ্ত করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রাজশাহীতে লকডাউনের এই সময়ে রাজশাহী–খুলনা রুটে চলাচলকারী সাগরদাঁড়ী এক্সপ্রেস ঈশ্বরদী থেকে খুলনা পর্যন্ত চলবে। রাজশাহী–ভাঙা রুটের মধুমতি এক্সপ্রেসও ভাঙা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত চলাচল করবে। রাজশাহী থেকে গোবরা রুটে চলাচলকারী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসও গোবরা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত চলাচল করবে। আর রাজশাহী–চিলাহাটি রুটের বরেন্দ্র এক্সপ্রেস চলবে চিলাহাটি থেকে আব্দুলপুর পর্যন্ত।

Also Read: রোগী শনাক্ত সবচেয়ে বেশি রাজশাহী বিভাগে, তারপর খুলনা