Thank you for trying Sticky AMP!!

রাজশাহীতে তিলিহাঁসের গায়ে জিপিএস ট্র্যাকার

রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো পাতি তিলিহাঁসের পিঠে বসানো হয়েছে জিপিএস ট্র্যাকার। গতকাল রাজশাহীর পবা উপজেলার মাঝার দিয়াড় এলাকায়। ছবি: আইইউসিএন

রাজশাহীতে সবচেয়ে দূর পরিযায়ী এক হাঁসের পিঠে বসানো হলো এর অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র (জিপিএস ট্র্যাকার)। এর মাধ্যমে পাখিটির অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন গবেষকেরা। ফলে তা চলাচলের পথ ও আচরণ সম্পর্কেও তথ্য জানা যাবে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় পদ্মা নদীর মাঝারদিয়াড় এলাকায় ওই হাঁসটি ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতি ঘণ্টায় মুঠোফোনে তার গতিবিধির হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

বিকেল সোয়া পাঁচটায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাখিটি সাড়ে ৯ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছে। তখন পর্যন্ত তার সর্বশেষ অবস্থান ছিল রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার চরখানপুর এলাকায়। 

রাজশাহীতে এই প্রথম কোনো পাখির পিঠে জিপিএস ট্র্যাকার বসানো হলো। পাখিটির নাম পাতি তিলিহাঁস। ইংরেজি নাম ‘কমন টিল’। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) পক্ষ থেকে যন্ত্রটি পাখির গায়ে স্থাপন করা হয়।

আইইউসিএনের গবেষকেরা গত রোববার রাজশাহীতে পাখিশুমারি করেন। রাতে পদ্মার চরে তাঁবু পেতে পাখির গতিবিধি লক্ষ করেন তাঁরা। দলে ছিলেন সংস্থাটির বন্য প্রাণী গবেষক সারোয়ার আলম, কর্মসূচি সহকারী জেনিন আজমেরী ও মহসীন কবির।

গবেষক সারোয়ার আলম প্রথম আলোকে জানান, হাঁস জাতের পাখিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। এটির ওজন ৩১০ গ্রাম। এটি সবচেয়ে দূর পরিযায়ী হাঁস। পাখির গতিবিধি লক্ষ করার জন্য এটি বিশ্বব্যাপী একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় পদ্ধতি। ট্যাগের ওজন প্রায় ১০ গ্রাম, যা পাখির শরীরের ওজনের মাত্র ৩ শতাংশ। ফলে এর স্বাভাবিক চলাফেরায় কোনো সমস্যা হবে না।

সারোয়ার আলম জানান, পাখিরা কোন দেশে, কত দূর যায়, নদীতে থাকে, না সমুদ্রে চলে যায়, এই যন্ত্র স্থাপনের আগে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যেত না। এক জায়গায় থাকলেও পাখিরা খাবারের জন্য পার্শ্ববর্তী অনেক জায়গায় যায়। পাখিদের সুরক্ষার জন্য আমাদের ওই জায়গাগুলোতেও নজর রাখা দরকার। এ থেকে কোথাও আক্রান্ত পাখির ভাইরাস ছড়ানোর গতিবিধি নির্ণয় করা যায়। যদি পৃথিবীর কোনো জলাশয়ে বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ দেখা দেয়, তাহলে ওই যন্ত্রের মাধ্যমে জানা যাবে, পাখিটি সেখানে রয়েছে কি না, সেখান থেকে সে বাংলাদেশে আসছে কি না।