Thank you for trying Sticky AMP!!

রিফাত হত্যা মামলার ৪ আসামির আদালতে আত্মসমর্পণ

রিফাত শরীফ হত্যা

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত পলাতক চার আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ রোববার সকালে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন।

আত্মসমর্পণের পর আসামিরা আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করেন। তবে আদালত তাঁদের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।

চার আসামির মধ্যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। প্রাপ্তবয়স্ক আসামির নাম মোহাইমিনুল ইসলাম ওরফে সিফাত (১৯)। রিফাত হত্যা মামলায় পুলিশের অভিযোগপত্রে সোহাইমিনুল ৩ নম্বর আসামি।

জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জিআরও মোহাম্মাদ হান্নাহ চার আসামির আত্মসমর্পণের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী অভিযুক্ত মোহাইমিনুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর তিন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তের জামিন আবেদন শুনানির জন্য শিশু আদালতে পাঠান।

শিশু আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিশু আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমান আজ বেলা তিনটার দিকে তিন অভিযুক্তের শুনানি শেষ করেন। এরপর তাদের জমিন নামঞ্জুর করে যশোর শিশু–কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রিফাত হত্যা মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা কাদের বলেন, রিফাত হত্যা মামলায় আট অভিযুক্ত পলাতক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে চারজন আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

এর আগে রিফাত হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা থানার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকাসহ ২৪ জনকে আসামি করে গত ১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী গত বৃহস্পতিবার মামলার পলাতক আট আসামির মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন।

গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রী আয়শার সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর তাঁকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন বিকেলে মারা যান রিফাত শরীফ। পরদিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।