Thank you for trying Sticky AMP!!

রূপপুরের বালিশকাণ্ডে এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছে না দুদক

ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের আবাসিক ভবনের কেনাকাটায় অস্বাভাবিক দামের বিষয়টি অনুসন্ধান করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নজরে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কথা হলো দুর্নীতি হয়েছে বা হয়নি। গণমাধ্যমের যে তথ্য সেখানে আমি দেখেছি বালিশ, কেটলি এসব বিষয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু প্রসিডিউর আছে। একটি রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা তো জাম্প দিতে পারি না। সেটা দেখতে হয়, বুঝতে হয়, চারদিক দেখতে হয়।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, মন্ত্রণালয়ের দুটি কমিটি এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। সেই তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। তিনি বলেন, ‘সবাই যদি একই জিনিস নিয়ে কাজ করতে থাকি তাহলে জিনিসটা ভালো দেখায় না।’

অতীতে অন্যান্য বিভাগ বা সংস্থার পাশাপাশি দুদককেও অনুসন্ধানে নামতে দেখা গেছে। এই দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে ভিন্ন কৌশল কেন, জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘শোনেন, আমাদের কতগুলো প্রজেক্ট আছে, যেগুলো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে হঠাৎ করে আপনি জাম্প করবেন? সেখানে চিন্তাভাবনা করতে হয়। এটা জাতীয় বিষয়, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বহুদিন ধরে চলছে। কিন্তু এটার বাস্তবায়নের কাজ মাত্র শুরু হয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও গুরুত্বপূর্ণ। সো জাস্ট ওয়েট। টেলিভিশনের দেখলাম, একজন মন্ত্রী বলছেন যে বেতন-ভাতা এগুলো সঠিক নয়। বালিশের ক্ষেত্রে এ রকম একটা পরিস্থিতি তো হতেও পারে।’