Thank you for trying Sticky AMP!!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির

রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার অর্ধেকও আসেনি এ বছর

বাংলাদেশে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ঢল নামার পর থেকেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে। যৌথ সাড়াদান কর্মসূচির (জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান—জেআরপি) আওতায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। তবে এ বছরের জেআরপির জন্য ১০০ কোটি ৬ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও এখন পর্যন্ত এসেছে মাত্র ৫১ কোটি ডলার, যা প্রতিশ্রুত অর্থের ৪৮ শতাংশের মতো।

এমন প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ২২ অক্টোবর যৌথভাবে একটি দাতা সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ওই সম্মেলনে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশিদের জন্য সাহায্যের গুরুত্ব তুলে ধরা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, ইইউ এবং ইউএনএইচসিআরের দেওয়া আলাদা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে এই সংকট মোকাবিলায় বড় একটি ঘাটতি রয়ে গেছে। এ বছরে পাওয়া মোট অনুদান প্রয়োজনীয় অর্থের অর্ধেকেরও কম।

সম্মেলনের আয়োজনকারীরা রোহিঙ্গা শরণার্থী, কক্সবাজারের স্থানীয় বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আরও অনুদানের আহ্বান জানাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। তাদের নতুন করে সহায়তার তাগিদ দেওয়া হবে।

এই সম্মেলনে আয়োজকেরা আবারও জানিয়ে দেবেন, এই সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে প্রয়োজন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ও অন্যান্য বাস্তুচ্যুত জনগণের স্বেচ্ছা, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন অথবা তাঁদের ইচ্ছা অনুযায়ী অন্য কোনো স্থানান্তর।

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য পরিচালিত সমন্বয়কারী সংস্থা ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় জেআরপিতে ৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছিল ৩১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে প্রতিশ্রুত ১০০ কোটি ডলারের বিপরীতে ৬৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ২০১৯ সালে ৯২ কোটি ডলারের বিপরীতে ৬৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাওয়া গিয়েছিল।