Thank you for trying Sticky AMP!!

রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য হিউম্যানিটারিয়ান প্লে-ল্যাব

‘প্লে সামিট ২০১৯’ অনুষ্ঠানে পরিবেশনা তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্লাউনস উইদাউট বর্ডার্সের সদস্যরা। সিরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় শরণার্থী শিশুদের নিয়ে কাজ করে সংগঠনটি। মঙ্গলবার, সাভার, ঢাকা। ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্য হিউম্যানিটারিয়ান প্লে-ল্যাব (এইচপিএল) নামে একটি মডেল তৈরি করেছে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)। এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদানের পাশাপাশি তাদের মানসিক ক্ষত সারিয়ে তুলতে কাজ করছে ব্র্যাক। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সাভারে ব্র্যাক সিডিএমে অনুষ্ঠিত ‘প্লে সামিট ২০১৯’ শীর্ষক দুদিনের এক সম্মেলনে এইচপিএল মডেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়।

সম্মেলনে শিশুদের বেড়ে ওঠায় খেলাধুলার ভূমিকা এবং কীভাবে মডেলটি স্বল্প খরচে বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় মানবিক সংকট পরিস্থিতিতে বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ তালুকদার, লেগো ফাউন্ডেশনের লেসলি প্যাট্রিশিয়া হোলস্ট প্রমুখ।

ব্র্যাকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্র্যাকের হিউম্যানিটারিয়ান প্লে-ল্যাব মডেলটি মূলত ০-৬ বছর বয়সী শিশুদের জন্য উপযোগী, যা বিশ্ববিখ্যাত লেগো ফাউন্ডেশনের তৈরি প্লে-ল্যাব মডেলের আদলে নকশা করা হয়েছে। এই হিউম্যানিটারিয়ান প্লে-ল্যাবগুলো তৈরিতে ব্র্যাকের সঙ্গে কাজ করেছে রোহিঙ্গা শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারীরা। এতে প্লে-ল্যাবগুলোতে রোহিঙ্গাদের নিজস্ব সংস্কৃতির আবহ ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্র্যাকের ২৫০টি প্লে-ল্যাবে অন্তত ৪০ হাজার শিশু শিক্ষা গ্রহণ করেছে। লেগো ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ২০১৫ সাল থেকে ‘খেলায় খেলায় শিক্ষা’ ধারণাটি প্রচারে কাজ করছে বিআইইডি। ঢাকায় অন্তত ৩০০টি শিক্ষাকেন্দ্রে প্লে-ল্যাব মডেল বাস্তবায়ন করা হয়েছে।