Thank you for trying Sticky AMP!!

শাজনীনের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

শাজনীন তাসনিম রহমান

আজ ২৩ এপ্রিল। শাজনীন তাসনিম রহমানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২২ বছর আগে গুলশানের নিজ বাড়িতে শাজনীনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান ও শাহনাজ রহমানের ১৫ বছর বয়সী মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমান তখন ঢাকার স্কলাসটিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে শাজনীন ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার হয় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামির ফাঁসির আদেশ দেন। তাঁরা হলেন শাজনীনের বাড়ির ভৃত্য শহীদুল ইসলাম (শহীদ), বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তাঁর সহকারী বাদল, বাড়ির পরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর এই মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। একই সঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট শনিরামকে খালাস দেন। বাকি পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল রাখা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন চার আসামি হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আরেক আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। আপিল বিভাগ চার আসামির আপিল মঞ্জুর করায় তাঁদের সাজা মওকুফ হয়। অপর আসামি শহীদের জেল আপিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এরপর মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) শহীদের করা আবেদনও আপিল বিভাগে খারিজ হয়। ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে শাজনীনকে হত্যার দায়ে শহীদের ফাঁসি কার্যকর হয়।