Thank you for trying Sticky AMP!!

শাল্লার মতো ঘটনা ঘটতে থাকলে বাংলাদেশ ‘এগিয়ে যাবে না’

সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে বুধবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে

সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন দেশের নেতৃস্থানীয় ১০ নাগরিক। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে বলেও সতর্ক করেছেন তাঁরা।

শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ শনিবার ১০ নাগরিকের এই বিবৃতি আসে। বিবৃতিদাতারা হলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী, হাসান আজিজুল হক, শামসুজ্জামান খান, সারোয়ার আলী, মফিদুল হক, মামুনুর রশীদ, শাহরিয়ার কবির, মুনতাসীর মামুন, আবদুস সেলিম ও নাসির উদ্দীন ইউসুফ।

তাঁরা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ পালন করছে, তখন শাল্লায় যে অমানবিক সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটেছে, তা তাঁদের ক্ষুব্ধ করেছে, বিস্মিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শেখ হাসিনা দেশকে যে লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের যে ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন, শাল্লাজাতীয় সাম্প্রদায়িক ঘটনা সেই ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করবে এবং একটি নেতিবাচক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রতীয়মান হবে। আমাদের আশঙ্কা, এ ধরনের সাম্প্রদায়িক ঘটনা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে না, পিছিয়ে যাবে এবং এত দিনের সব অর্জন ভূলুণ্ঠিত হবে।’

যাঁদের উসকানিতে এই হামলা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হেফাজতের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের উসকানিতে ও হেফাজতের অনুসারীরা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে এ বীভৎস সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটায়। সংবাদপত্র অনুসারে, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্ভাব্য হামলা সম্পর্কে জেনেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।’

অতীতে এই ধরনের ঘটনার বিচার না হওয়ায় নতুন ঘটনার পথ তৈরি হয়েছে দাবি করে বিবৃতিদাতারা বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন মহলের প্রশ্রয়ে হেফাজত-জামায়াতিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে। পাশাপাশি এই সাম্প্রদায়িক শক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের অনেক প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নামে কুৎসা রটনা করছে। অথচ বিটিআরসি এই কুৎসা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।