Thank you for trying Sticky AMP!!

শিক্ষার সংকটে পাঁচ শিক্ষাবিদের প্রস্তাব এখনো প্রাসঙ্গিক

১২ বছর আগে শিক্ষার সংকট নিয়ে ৫ শিক্ষাবিদ এক যুক্ত বক্তব্যে ৯ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন।

অতিমারির আঘাতে বিপন্ন আমাদের শিক্ষা খাত। ক্ষতি পোষানোর জরুরি কর্মসূচি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শিক্ষাবিদেরা। আগে থেকে বিদ্যমান সমস্যাগুলো এখন আরও প্রকট হয়েছে। তাই জরুরিভাবে শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুনরুদ্ধার ও নিরাময় কর্মসূচির সঙ্গে মধ্যমেয়াদি সংস্কারের কথাও ভাবতে হবে।

২০১০ সালের জুলাই মাসে নতুন শিক্ষানীতি ঘোষিত হওয়ার আগে আমাদের শিক্ষার ৫ প্রবীণ শিক্ষাবিদ এক যুক্ত বক্তব্যে ৯ দফা প্রস্তাব দেন। ওই বক্তব্য সে সময় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ২০১০ সালের সেই নীতি অনেকাংশে আজও অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে। স্বনামধন্য শিক্ষাবিদদের প্রস্তাব তাই আজও প্রাসঙ্গিক।

এই বিশিষ্টজনেরা ছিলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে চারজনই প্রয়াত। একমাত্র সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আমাদের সঙ্গে আছেন।

১২ বছর আগের প্রস্তাবগুলো যে এখনো প্রাসঙ্গিক, তা শিক্ষার অগ্রগতিতে ঘাটতির এক নিদর্শন। শুধু ৮ নম্বর প্রস্তাবে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মৌলিক শিক্ষার সমন্বিত পরিকল্পনা আর যথেষ্ট নয়। এখন ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অনুযায়ী দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সর্বজনীন শিক্ষার পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। তাঁদের সেই প্রস্তাবগুলো মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।

প্রবীণ শিক্ষাবিদদের ৯ প্রস্তাব

মনজুর আহমদ

শিক্ষাঙ্গনের অপরাজনীতি দূর হোক, পর্যাপ্ত অর্থায়নসহ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

মহাজোট সরকারের ২০২১ রূপকল্পে বর্ণিত শিক্ষা ও মানব উন্নয়নের লক্ষ্য আমরা সমর্থন করি। আমরা চাই, বিপুল জনসমর্থনে নির্বাচিত এই সরকারের প্রগতিশীল, বিজ্ঞানমনস্ক ও আধুনিক সমাজ গঠন, সবার জন্য মান ও সমতার ভিত্তিতে শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণের অঙ্গীকার সফল হোক।

বর্তমান সরকারের কাছে সচেতন নাগরিক সমাজসহ সব মানুষের প্রত্যাশা বিপুল। কিছু শঙ্কা ও উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, শিক্ষার সংস্কার যে গতিতে ও যতখানি অগ্রসর হওয়া প্রয়োজন, তা অনেক ক্ষেত্রে হচ্ছে না। লক্ষ্য অর্জনের জন্য যেসব উদ্যোগ নেওয়া অপরিহার্য, সেগুলো নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারকে নিম্নে বর্ণিত পদক্ষেপগুলো আশু বিবেচনা করে যথার্থ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে আহ্বান জানাচ্ছি।

১.

ছাত্র ও তরুণ সমাজকে অপরাজনীতি থেকে দূরে রাখা ও শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার জন্য ছাত্রলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ ছিন্ন করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনকে শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র-অছাত্র সবার অপরাধমূলক ও নিয়মবহির্ভূত কার্যকলাপ কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ দেওয়া হোক এবং এ ব্যাপারে সরকারের সর্বস্তর থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হোক। ছাত্ররাজনীতির গৌরবময় ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের জন্যও এ সিদ্ধান্ত অপরিহার্য।

২.

সম্প্রতি প্রকাশিত খসড়া শিক্ষানীতির প্রধান লক্ষ্যগুলো নিয়ে ব্যাপক মতৈক্য ও গ্রহণযোগ্যতা আছে বলে আমরা মনে করি। কিছু ক্ষেত্রে মতের ভিন্নতা থাকলেও দেশের শিক্ষা উন্নয়নের অধিকাংশ প্রধান যেসব লক্ষ্যে সাধারণ ঐকমত্য রয়েছে, সেগুলো ব্যাহত হওয়া মোটেও সংগত নয়। জাতীয় সংসদে আলোচনা ও অনুমোদন সাপেক্ষে যেসব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য ও নীতিতে সাধারণ মতৈক্য আছে, সেগুলো বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

৩.

যেসব গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যে বিশেষ বিতর্ক নেই, সেগুলোর মধ্যে আছে—

  • সব রকম প্রাথমিক ও মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে একটি মূল শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে সব শিশুর জন্য মানসম্মত ও একীভূত শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা।

  • বাংলা, ইংরেজিসহ ভাষা, বিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাস, সমাজপাঠ ও তথ্যপ্রযুক্তিতে সব ধরনের বিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর নির্ধারিত ন্যূনতম দক্ষতা ও জ্ঞান নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা মূল্যায়নে বিজ্ঞানসম্মত উপায় প্রয়োগ করা।

  • বাসস্থান, আর্থিক অবস্থান, গোত্র, শারীরিক-মানসিক বিশেষ প্রয়োজন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- নির্বিশেষে সব শিশুর জন্য ন্যূনতম শিক্ষার সুযোগের মান নির্ধারণ ও প্রয়োগ এবং এসব লক্ষ্য অর্জনে পর্যাপ্ত অর্থায়ন ও তার সদ্ব্যবহারের ব্যবস্থা।

  • প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনকে অর্থবহভাবে বিকেন্দ্রীকরণ করা, প্রতি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির মধ্যে আনাসহ ব্যাপকতর দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব প্রদান এবং প্রাথমিক স্তর থেকে সব প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নেতৃত্বের ভূমিকাকে গুরুত্ব দিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি, উপযুক্ত বেতন ও মর্যাদা প্রদান।

৪.

একটি জাতীয় শিক্ষানীতি থেকে সব রকম সমস্যার পূর্ণ সমাধান এবং সেগুলো বাস্তবায়নের বিশদ কর্মকৌশল আশা করা যায় না। অভিজ্ঞতার আলোকে এবং বাস্তবায়নের প্রস্তুতি ও পর্যায়ক্রমে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়ায় জটিল সমস্যাগুলোর সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। এ উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা ও অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ স্থায়ী বিধিবদ্ধ শিক্ষা কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। খসড়া শিক্ষানীতিতে এই সুপারিশ করা হয়েছে।

৫.

শিক্ষায় সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে রাষ্ট্র, সরকার ও নাগরিকের ভূমিকা এবং শিক্ষা ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নের রূপরেখাসহ শিক্ষাব্যবস্থার আইনি কাঠামো হিসেবে শিক্ষানীতিতে সুপারিশকৃত একটি জাতীয় শিক্ষা আইন প্রণীত হওয়ার দরকার। স্থায়ী শিক্ষা কমিশন এ ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে।

৬.

শিক্ষার সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদের জোগান ও যথার্থ ব্যবহার অপরিহার্য। শিক্ষার অর্থায়নের ব্যাপারে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ষষ্ঠ পাঁচশালা পরিকল্পনার (২০১১-১৫) মেয়াদকালে সরকারি শিক্ষা ব্যয় বর্তমান জাতীয় আয়ের ২ শতাংশ থেকে দ্বিগুণ করা হোক এবং প্রেক্ষিত (২০১১-২১) পরিকল্পনার সময়সীমায় তা জাতীয় আয়ের ৬ শতাংশে বৃদ্ধি করা হোক। ‘সকলের জন্য শিক্ষা’র আন্তর্জাতিক কার্যক্রমে শিক্ষা ব্যয়ের এই মাত্রা সুপারিশ করা হয়েছে।

৭.

শিক্ষায় পর্যাপ্ত অর্থায়নের একটি উপায় হিসেবে শিক্ষা সংযোজনী কর প্রবর্তন করা হোক। ভারতে ২০০৪-২০০৫ সাল থেকে মৌলিক শিক্ষার জন্য সব বর্তমান করের ওপর ২ শতাংশ ও ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার জন্য আরও ১ শতাংশ যোগ করে সম্প্রতি প্রতিবছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করা হচ্ছে। ‘প্রারম্ভিক শিক্ষা কোষ’ নামের স্থায়ী তহবিলে ওই অর্থ জমা রাখা হয়, যা অর্থবছরের শেষে তামাদি হয়ে যায় না। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন এবং সব শিশুর জন্য বিদ্যালয়ে মধ্যাহ্ন আহারের ব্যয় বহন করা হয় এই তহবিল থেকে।

৮.

সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে ও সমতার লক্ষ্যে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী সরকারি ব্যয় বরাদ্দের নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই নীতি কার্যকর করার জন্য প্রতি উপজেলায় প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সর্বজনীন মৌলিক শিক্ষা প্রসারের জন্য সমন্বিত বিকেন্দ্রায়িত পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করা দরকার।

৯.

  • মানসম্মত ও সমতাভিত্তিক মৌলিক শিক্ষা প্রসারের জন্য আমরা ষষ্ঠ পাঁচসালা পরিকল্পনার আওতায় তিনটি সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম প্রস্তাব করছি।

  • প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৈনিক পাঠসময় বৃদ্ধির জন্য সব বিদ্যালয়ে অভিভাবক ও স্থানীয় সরকারকে যুক্ত করে মধ্যাহ্ন আহারের ব্যবস্থা করা হোক।

  • প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ও মেধাসম্পন্ন তরুণদের শিক্ষা পেশায় আনার জন্য কলেজের ডিগ্রি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষক প্রস্তুতি কোর্স চালু করা হোক। এই কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা মানবিক, বিজ্ঞান ইত্যাদি স্নাতক ডিগ্রির সঙ্গে শিক্ষা ডিপ্লোমা পাবেন। মেধাবী তরুণদের আকৃষ্ট করার জন্য এই কোর্সের শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত বৃত্তি দিতে হবে এবং পাঠশেষে অন্তত পাঁচ বছর শিক্ষকতায় নিয়োজিত থাকার জন্য আকর্ষণীয় বেতন নির্ধারণ করতে হবে। এদের নিয়ে একটি জাতীয় শিক্ষক কোর গঠন করা যেতে পারে। ১০ বছর সময়ে এই শিক্ষক কোরের এক থেকে দুই লাখ শিক্ষক সারা দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক গুণগত পরিবর্তনের সূচনা করতে সক্ষম হবেন। এই উদ্যোগ সফল করতে হলে দেশের প্রতি জেলায় অন্তত একটি বা দুটি কলেজ নির্বাচিত করে এই কোর্স চালু করতে হবে এবং এই উদ্দেশ্যে কলেজগুলোরও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও গুণগত মান উন্নয়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

  • নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও বয়স্কশিক্ষার পরিকল্পিত কার্যসূচি জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ প্রসারের লক্ষ্যে বাস্তবায়িত হওয়া দরকার। এই উদ্দেশ্যে স্থানীয় সরকার, স্থানীয় সমাজ ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করে গ্রামভিত্তিক স্থায়ী গণশিক্ষা কেন্দ্র ও পাঠাগারের দেশব্যাপী এক নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন। এই কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যালয়-বহির্ভূত কিশোর-তরুণদের সাক্ষরতা, মৌলিক দক্ষতাসহ প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন গ্রামীণ তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র ও প্রস্তাবিত কমিউনিটি রেডিও এই শিক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। দস্তখতসর্বস্ব অক্ষরজ্ঞানে সীমাবদ্ধ ‘অভিযানের’ মাধ্যমে ‘নিরক্ষরতা নির্মূল’ প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ নয়; বরং অর্থের অপচয় বলে প্রমাণিত হয়েছে।

স্বল্পমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি ও সূক্ষ্ম রাজনৈতিক হিসাবের ঊর্ধ্বে উঠে সাহসী ও আদর্শভিত্তিক সিদ্ধান্ত ও লক্ষ্য গ্রহণ করতে হবে। বহুবিধ বাধা ও সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সেগুলো কার্যকর করার সদিচ্ছাসম্পন্ন প্রচেষ্টাকে দেশের মানুষ বিপুল সমর্থন দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সেভাবে পালন করা হচ্ছে না

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

পাঁচ শিক্ষাবিদের দেওয়া প্রস্তাবের বিষয়ে গতকাল শুক্রবার প্রথম আলো কথা বলেছে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে।

সেই নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন যে হলো না, তার বড় কারণ হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থাকে আসলে অতটা গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না। পুরো বিষয়টিকে তো গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। শিক্ষা এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গেছে। এ ছাড়া শিক্ষায় বাণিজ্য চলে এসেছে। ফলে শিক্ষার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় যে দায়িত্ব, সেটি রাষ্ট্র সেভাবে অনুভব করে না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য—দুই ক্ষেত্রেই আমরা দেখছি, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সেভাবে পালন করা হচ্ছে না এবং গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অথচ এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের দেশে যত উন্নয়ন হচ্ছে, তার সবই অর্থহীন হবে যদি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমরা উন্নয়ন করতে না পারি। পুরো বিষয়টি এভাবে দেখা হচ্ছে না। এ কারণে ২০১০ সালে দেওয়া সেই দিকনির্দেশনাগুলো আজও অনেকাংশে অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে। ওই বিবৃতিদাতা অন্যরা বেঁচে থাকলেও একই কথা বলতেন বলে আমি মনে করি।

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,

২০ মে ২০২২