Thank you for trying Sticky AMP!!

শিক্ষার সব স্তরে 'জাতীয় ইতিহাস' অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ

শিক্ষার সব স্তরে আবশ্যিকভাবে ‘জাতীয় ইতিহাস’ নামে একটি নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সাংবাদিকদের বলেন, স্নাতক পর্যায়সহ শিক্ষার সব স্তরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন বিষয় চালু করার সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, দেশের ২৬২টি সরকারি কলেজের ১০৮টিতেই ইতিহাস বিষয় নেই। তিনটি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার কোনোটিতেই ইতিহাস বিষয় নেই। সরকারি কলেজগুলোতে সব মিলিয়ে ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপকের পদ আছে ১৪টি। এর বাইরে সহযোগী অধ্যাপকের পদ ৯৭টি, সহকারী অধ্যাপক ১৬৫টি এবং প্রভাষকের পদ আছে ৩১৪টি।
রাশেদ খান মেনন বলেন, কমিটি কলেজগুলোতে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপকের পদ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর পক্ষ থেকে সংসদীয় কমিটির কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের স্বাক্ষর করা স্মারকলিপিতে দেশের প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি কলেজে বাধ্যতামূলক ইতিহাস বিভাগ রাখার দাবি জানানো হয়। তারা একটি প্রস্তাবিত পাঠ্যক্রম কমিটির কাছে তুলে ধরে। প্রস্তাবে ওই পাঠ্যক্রমে ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন থেকে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগের শাসনামল পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর করার সুপারিশ করা হয়। রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, হুইপ মির্জা আজম ও শেখ আবদুল ওহাব, সদস্য মো. শাহ আলম ও মমতাজ বেগম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল হক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম এ মান্নান, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, অধ্যাপক তাজুল ইসলাম খান, অধ্যাপক সুলতানা নিগার চৌধুরী ও শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।