Thank you for trying Sticky AMP!!

শিবচরে 'বন্দুকযুদ্ধে' সর্বহারা পার্টির সদস্য নিহত

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার নিলখীতে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কিরণ বেপারী (৩৬) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, তিনি একাধিক হত্যা মামলার আসামি এবং চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা পার্টির সদস্য। এদিকে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘সংঘর্ষে’ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শিবিরের কর্মী হুমায়ন কবীর (২২)।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি শিবচর উপজেলার পাচ্চর গ্রামের কানাডা-প্রবাসী বাহালুল সরদারের কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা পার্টি একটি চিঠি দিয়ে কাফনের কাপড়সহ দাফনসামগ্রী পাঠায়। এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ভোররাতে পাচ্চর গ্রাম থেকে দুই সহযোগীসহ কিরণ বেপারীকে গ্রেপ্তার করে। অন্য দুজন হলেন শিবলু শেখ (৩২) ও জামাল শেখ (৩০)। তাঁদের কাছ থেকে পুলিশ ১১টি গুলি ও কয়েকটি মুঠোফোন জব্দ করে।
পুলিশের বর্ণনা অনুযায়ী, কিরণের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে তাঁকে নিয়ে শিবচরের চরমপন্থী অধ্যুষিত নিলখীর বাগমারায় অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। এ সময় চরমপন্থী দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। সেই সুযোগে কিরণ পালানোর চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ নিয়ে গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের পর এ পর্যন্ত র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অন্তত ৩২ জন নিহত হলেন।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাসুদ খান জানান, কিরণ চরমপন্থী দলের সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাসহ চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। তিনি রাজবাড়ীর উত্তর দৌলতদিয়ার জদু ফকিরপাড়া গ্রামের আবু বেপারীর ছেলে।
শিবিরের কর্মী গুলিবিদ্ধ: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় গুলিবিদ্ধ শিবিরের কর্মী হুমায়ন কবীর উপজেলার ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের আয়ুব আলীর ছেলে।
কলারোয়া থানার ওসি মুন্সি মোফাজ্জেল হোসেন জানান, গত ১২ ডিসেম্বর কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান ওরফে জজ মিয়াকে জাবাই করে হত্যা করেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। ওই হত্যা মামলার সন্দেহজনক আসামি শিবিরের ক্যাডার হুমায়ন কবীরসহ কয়েকজন ক্ষেত্রপাড়ার কপোতাক্ষ নদের ধারে গোপন বৈঠক করছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গতকাল দুপুরে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও হুমায়ন কবীরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হুমায়ন কবীরের স্ত্রী সালমা খাতুন জানান, তাঁর স্বামী সকালে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পরে দুপুরে জানতে পারেন, তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।