Thank you for trying Sticky AMP!!

শিবিরের সাবেক নেতার আ.লীগে যোগদান

শরীয়তপুর পৌর ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি বি এম ইউসুফ আলী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সদর উপজেলার আটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি আওয়ামীলীগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন।
অনুষ্ঠান প্রস্তুতির সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন শরীয়তপুর পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মোতাহার হোসেন ও জামায়াতের কর্মী জাকারিয়া হোসেন।

বি এম ইউসুফ আলী বিমা প্রতিষ্ঠান পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর পৌর ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছিলেন।

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি কীভাবে করবেন?—এমন প্রশ্নের জবাবে বি এম ইউসুফ আলী বলেন, ‘ছাত্রজীবনে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। এরপর জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকার সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতি করি। দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। সাংসদ বি এম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায় তাঁর নির্বাচনে ভূমিকা রেখেছি।’
শরীয়তপুর-১ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ইউসুফ আলী দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি অতীতে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করেছেন। কিন্তু এখন আর জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তা ছাড়া তাঁর প্রতিষ্ঠানে এলাকার প্রচুর ছেলেমেয়ে চাকরি করেন। এখন থেকে তাঁরাও আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শরীয়তপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আটং গ্রামবাসীর ব্যানারে বি এম ইউসুফ আলী নিজেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানেই বি এম মোজামেঞ্চল হক মাইকে বি এম ইউসুফ আলীর আওয়ামী লীগে যোগদানের ঘোষণা দেন।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোকা সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা হজরত আলী, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ মজলিস খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সাংসদ মোজাম্মেল হক ও বি এম ইউসুফ আলী ছাড়া আর কেউ বক্তব্য দেননি।
জেলা যুবলীগের সভাপতি এম এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মী স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বা রাজনৈতিক দল সুষ্ঠুভাবে রাজনীতি করুক, তা কোনো দিন চাইবেন না। সাময়িক সুবিধা নেওয়ার জন্য ও আওয়ামী লীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য তাঁরা এখন এই দলে যোগ দিচ্ছেন।’ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্যপ্রযুক্তি ও গবেষণা সম্পাদক ওবায়েদ উল্যাহ খান বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের লোকজন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার সুযোগ পাওয়ায় সাধারণ নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ।’