Thank you for trying Sticky AMP!!

শেকৃবিতে পাবলিক স্পিকিংয়ের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সেমিনার কক্ষে ‘দ্য আর্ট অব পাবলিক স্পিকিং’য়ের ওপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

জনসমক্ষে বক্তৃতা কিংবা বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপনার ক্ষেত্রে প্রায় সবারই হয় আড়ষ্টতা নয়তো উদ্দীপনা কাজ করে। এ ক্ষেত্রে আড়ষ্টতা দূর করে উদ্দীপনাটিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে কীভাবে একজন শিক্ষার্থী নিজস্ব পাণ্ডিত্য প্রকাশ করবে, তা শেখার জায়গা হলো পাবলিক স্পিকিংয়ে। বর্তমান প্রতিযোগিতার বিশ্বে পাবলিক স্পিকিংয়ের ওপর দক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার (১০ মার্চ) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সেমিনার কক্ষে ‘দ্য আর্ট অব পাবলিক স্পিকিং’–এর ওপর কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (BYLC) ও শেকৃবি এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাবের (SAUEDC) যৌথ সহযোগিতায় হয় এ আয়োজন।

কর্মশালার প্রশিক্ষক ছিলেন বিওয়াইএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হাসিব আল মামুন এবং জাহিদুল ইসলাম। কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যক্ষ মীর্জা হাছানুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রভাষক আবদুল আউয়াল চৌধুরী ও ফিশারিজ অ্যাকোয়াকালচার ও মেরিন সায়েন্স অনুষদের অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের প্রভাষক মীর মোহাম্মদ আলী।

মীর মোহাম্মদ বলেন, এ রকম আয়োজন আরও হওয়া দরকার, যা গুরুত্বপূর্ণ। এ রকম অনুষ্ঠান স্কিল ডেভেলপমেন্টে সহায়তা করে, যা একজন শিক্ষার্থীর জ্ঞান সমৃদ্ধ পূরণে সহায়তা করতে পারে। এ ধরনের কর্মশালা আরও বেশি হওয়া দরকার।

আবদুল আউয়াল বলেন, বিওয়াইএলসি এমন সংগঠন, যা ইয়ুথ এম্পাওয়ারম্যান্ট নিয়ে কাজ করে। বক্তব্যকে চমকপ্রদ করার জন্য যে টুলস দরকার, তা এ ধরনের প্রোগ্রাম গঠনে সহায়তা করবে। একজন মানুষকে জাজ করতে প্রথম কিছু মুহূর্ত দরকার। এই মুহূর্তে নিজেকে তৈরি করতে হবে পাবলিক স্পিকিংয়ের দক্ষতার মাধ্যমে।

পাবলিক স্পিকিং কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মীর্জা হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা, যোগ্যতা, জ্ঞান—এসবের সঠিক মূল্য থাকে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা নিজেদের অন্যের মনে উপস্থাপন করতে পারি।’

শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র সব জায়গা আজ তাদেরই খুঁজছে, যারা নিজেদের সবার সামনে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে অর্থাৎ যারা পাবলিক স্পিকিংয়ে দক্ষ। কিন্তু এই পাবলিক স্পিকিং অনেকের জন্যই ভীষণ ভয়ের কারণ। জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তোলার জন্য, নিজের কর্মকে পরিচিতি দেওয়ার জন্য, স্বপরিচয়কে সবার সামনে তুলে ধরার একটি মাধ্যম, একটি অনিবার্য পথ হলো পাবলিক স্পিকিং। কিন্তু এই ভয় কেটে উঠে নিজেকে সবার সামনে উপস্থাপন করা অনেকের কাছে বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ জন্য এই ভীতি কাটিয়ে ওঠা আমাদের জন্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

*লেখক: শিক্ষার্থী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়