Thank you for trying Sticky AMP!!

সংস্কার নেই ১৬ বছর, ভাঙা সড়কে গাড়ি চলে কম

সড়কের ইট উঠে গিয়ে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেসব গর্তে জমে আছে বৃষ্টির পানি। সাতকানিয়া উপজেলার খানবাড়ি-ঘোলাঘাট সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। ছবিটি উপজেলার মধ্যম এওচিয়া থেকে ৫ মে তোলা l প্রথম আলো

সড়কের স্থানে স্থানে ইট নেই। কিছু দূর অন্তর ছোট-বড় গর্ত। কিছু গর্ত কাদাপানিতে একাকার হয়ে আছে। সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে কমে গেছে গাড়ি চলাচল। এই চিত্র সাতকানিয়া উপজেলার খান বাড়ি-ঘোলাঘাট সড়কের। এওচিয়া ও কাঞ্চনা ইউনিয়নের লোকজনের যাতায়াত এই সড়ক দিয়ে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) সাতকানিয়া উপজেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল ১৬ বছর (২০০১ সালে) আগে। ওই সময় এওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উদ্যোগে কাঁচা সড়কটিতে ইট বিছানো হয়। এরপর আর সংস্কারকাজ হয়নি।
স্থানীয় লোকজন জানান, আগে সড়কে মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করত। এখন বিশেষ প্রয়োজনে শুধু রিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করছে।
গত ২৯ এপ্রিল সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের মধ্যম এওচিয়া এলাকায় প্রায় আধা কিলোমিটার অংশে হাঁটার অবস্থাও নেই। বৃষ্টির পানি থেকে সৃষ্ট কাদায় মোটরসাইকেল ও রিকশা আটকে যাচ্ছে। কাদা মাড়িয়ে চলাচল করছে স্থানীয় লোকজন। একই অবস্থা খানবাড়ি ও বকশির খীল এলাকায়ও।
এক ঘণ্টারও বেশি সময় সড়কে অবস্থান করে দেখা গেছে, এই সময়ে মাত্র একটি রিকশা ও একটি মোটরসাইকেল সড়ক পাড়ি দিয়েছে।
খানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দীন (৪৬) বলেন, সড়কের শুরু ও শেষের দিকে কিছুটা ভালো। মাঝামাঝি দুই কিলোমিটার এলাকায় হেঁটে চলাচল করাও দায়। সড়ক সংস্কারের ব্যাপারে এওচিয়া ও কাঞ্চনা ইউপির চেয়ারম্যানের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে।
পশ্চিম গাটিয়াডেঙ্গা এলাকার কৃষক বাদশা মিয়া (৫৫) বলেন, সড়কের আশপাশের অধিকাংশ বাসিন্দাই কৃষক। বেহাল অবস্থার কারণে উৎপাদিত পণ্য দূরের বিকল্প সড়ক দিয়ে বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এর ফলে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
রিকশাচালক মোহাম্মদ নুরুচ্ছফা (৪০) বলেন, সড়কটি দিয়ে এখন গাড়ি চালাতেই ইচ্ছে করে না। গর্তে পড়ে প্রায় সময় গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কাঞ্চনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রমজান আলী বলেন, সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে তিনি সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে চেষ্টা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ সারোয়ার হোসেন বলেন, সড়কটি ওই এলাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগামী অর্থবছরে পিচ ঢালাইয়ের মাধ্যমে সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হবে।