Thank you for trying Sticky AMP!!

সওজ প্রকৌশলীর মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

প্রতীকী ছবি। এএফপি

সরকারি কাজে বাধা, সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের প্রকৌশলীকে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। জেলা দায়রা জজ আদালত আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

ইউপি চেয়ারম্যানের নাম কাজী সাখাওয়াত হোসেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে সাখাওয়াত আদালতে হাজিরা দিতে যান। এ সময় আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ আবু মো. আমিমুল এহসান তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাজী সাখাওয়াত হোসেন টানা দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান।

পুলিশ ও সওজ কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে সকালে নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ সড়কের বারহাট্টার বড়ি এলাকা থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এ কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন জেলা সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাকিরুল ইসলাম। সাকিরুল ওই দিন কাজের তদারকির জন্য ওই এলাকায় যান। এর কিছুক্ষণ পর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াতও একই স্থানে আসেন। এ সময় তিনি কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাস্তায় সংস্কারে ব্যবহৃত পাথরসহ অন্যান্য উপাদান উপযুক্ত মানের নয় দাবি করে সাখাওয়াত প্রকৌশলী সাকিরুলকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। সাকিরুলকে ভালো মানের পাথর এনে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে বসে আলোচনা সাপেক্ষে কাজ শুরু করার কথা বলেন চেয়ারম্যান। সাকিরুল ইউপি চেয়ারম্যানের অভিযোগটি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলমকে অবহিত করেন।

দিদারুল এ সময় সাকিরুলকে ওই পাথরের ছবি পাঠাতে বলেন। সাকিরুল দিদারুলের কথা মতো মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণের সময় চেয়ারম্যান সাখাওয়াত তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হন। এ সময় চেয়ারম্যান সাকিরুলকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে সাখাওয়াত ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন সাকিরুলের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় সাকিরুল বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় সাখাওয়াতসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় সাকিরুল সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আনেন। তবে সাখাওয়াত উচ্চ আদালত থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন আনেন। আজ মঙ্গলবার তিনি জেলা জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালতের বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নেত্রকোনা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক গোলক চন্দ্র বসাক মঙ্গলবার বিকেলে পাঁচটার দিকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে কাজী সাখাওয়াত হোসেনকে কোর্ট পুলিশের হেফাজত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’