Thank you for trying Sticky AMP!!

সন্ধ্যার ট্রেন ছাড়ল পরের দিন ভোরে

ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটায়। কিন্তু ট্রেন ছাড়ল পরের দিন শনিবার ভোর পাঁচটায়। রংপুর এক্সপ্রেস আন্তনগর ট্রেনটি গতকাল ১০ ঘণ্টা দেরিতে রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ট্রেন আট ঘণ্টা দেরিতে রাত তিনটায় ছেড়ে যায়। সময়সূচি বিপর্যয় হওয়ার কারণে ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

রংপুর রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ঈশ্বরদী, নাটোর, সান্তাহার, বগুড়া, গাইবান্ধা, কাউনিয়া জংশন হয়ে রংপুরে চলাচল করে। ট্রেনটির প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে রংপুরে আসার কথা। এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে রংপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাওয়ার কথা। কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে ট্রেন সময়সূচি অনুযায়ী চলছে না। প্রায়ই বিলম্ব হচ্ছে।

স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবারের সন্ধ্যার ট্রেনটি গতকাল ভোর চারটার দিকে রংপুর আসে। এর এক ঘণ্টা পর যাত্রী তুলে ঢাকার দিকে রওনা দেয়। প্রচণ্ড শীতে যাত্রীদের রাতভর রেলওয়ে স্টেশনে বসে থাকতে হয়েছে।

ট্রেনযাত্রী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম গতকাল বেলা একটার দিকে মুঠোফোনে বলেন, বাসে গেলে দীর্ঘক্ষণ যানজটে বসে থাকতে হবে ভেবে ট্রেনের টিকিট কাটেন। তাও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। কিন্তু তাতে লাভ হলো না। উল্টো ঠান্ডায় রাতভর প্ল্যাটফর্মে বসে থাকতে হলো।

রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, ট্রেন দেরিতে আসছে, দেরিতে যাচ্ছে। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার থাকার কথা সাধারণত। কিন্তু ঘন কুয়াশা, প্রতিটি স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগায় ট্রেনটি ৪০-৪৫ কিলোমিটার বেগে চলাচল করছে। তিনি আরও বলেন, সপ্তাহের রোববার ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ। বন্ধের পরের দিন সোমবার সময় কিছুটা ঠিক থাকলেও, বাকি দিনগুলোর সময়সূচি ঠিক থাকে না। তবে এ বিষয়ে তাঁদের কিছু করার নেই।

ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের একজন কর্মকর্তা গতকাল মুঠোফোনে বলেন, ঘন কুয়াশা ও নির্ধারিত যাত্রীর চেয়ে অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করায় ট্রেনটি আস্তে চলে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা করতে বেশি সময় নেয়।