Thank you for trying Sticky AMP!!

সব তাঁদের পক্ষে, তবু প্রাপ্য পাচ্ছেন না এই শিক্ষকেরা

উচ্চ আদালতের রায় শিক্ষকদের পক্ষে। টাকা দিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেটে বরাদ্দও রেখেছে। তারপরেও ‘সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের’ (উচ্চতর বেতন স্কেল) টাকা পাচ্ছেন না সরকারি কলেজের সাবেক ও বর্তমান ৫৬৩ জন শিক্ষক।

ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তা ‘অযৌক্তিকভাবে’ এই টাকা ছাড় করতে গড়িমসি করছেন। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা এক সময় চাকরি জীবনে আট বছর ও ১০ বছর পূর্তিতে টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পেতেন। এক সময়ে তাঁরাও এই সুবিধার প্রাপ্য হন, কিন্তু দেওয়া হচ্ছিল না। এ নিয়ে আইনের আশ্রয় নিলে সর্বোচ্চ আদালত তাঁদের পক্ষে রায় দেন। পরে সরকারের সলিসিটার বিভাগ জানায় রিভিউ না করে আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সাবেক ও বর্তমান এসব শিক্ষকদের বকেয়া হিসেবে প্রায় ২২ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও প্রশাসনিক আদেশ রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে চিঠি লিখেছে।

‘সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের’ এই বকেয়া টাকা পেলে একেকজন শিক্ষক কয়েক লাখ করে টাকা পাবেন। ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা অভিযোগ করেছেন, এত কিছুর পরেও নানা অজুহাতে তাঁদের প্রাপ্য বকেয়া দিতে গড়িমসি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তা সারবিন চৌধুরীকে ফোন করলে তিনি পরিচয় জানার পর সংযোগটি কেটে দেন। পরে ফোন করলেও তিনি আর ধরেননি।

ভুক্তভোগী শিক্ষকদের প্রতিনিধি এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক সচিব অধ্যাপক মো. আতিয়ার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা চান এই হয়রানি বন্ধ করে দ্রুত তাঁদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হোক।