Thank you for trying Sticky AMP!!

সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় কল্যাণ তহবিলের আওতায় আসবে: প্রধানমন্ত্রী

আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে কর্মক্ষেত্রে নিহত ও পঙ্গু শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে তৈরি পোশাকশিল্পের তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে নিহত ও আহত শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার জন্য সব প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারক শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় কল্যাণ তহবিলের আওতায় আনা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই সব গার্মেন্টস শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিলের আওতায় আনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছি।’

আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে কর্মক্ষেত্রে নিহত ও পঙ্গু শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে তৈরি পোশাকশিল্পের তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদান করেন। সেখানেই তিনি এ কথা বলেন।

পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্রীয় তহবিলের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি মনে করি, বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পোশাক রপ্তানি করে, তাদেরও কেন্দ্রীয় তহবিলের আওতায় আনতে হবে। রপ্তানি করতে হলে তাদের বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএর সদস্য হতে হবে। বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিচ্ছি।’

প্রথমবারের মতো শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে মৃত্যু ও পঙ্গুত্ববরণকারী ২৩৪ জন শ্রমিকের পরিবার ও শ্রমিককে ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হয়।

রপ্তানি মূল্যের শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হারে অর্থ বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা হচ্ছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।

একজন গার্মেন্টস শ্রমিক কোনো দুর্ঘটনায় নিহত বা গুরুতর আহত হলে তাঁর পরিবার তিন লাখ টাকা করে এই তহবিল থেকে অনুদান পাবেন এবং কর্মক্ষেত্রের বাইরে যেকোনো মৃত্যুর জন্য তাঁর পরিবারের স্বজনেরা দুই লাখ টাকা পাবেন।

মালিকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিল্পের মালিকদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, আপনারা ব্যবসা করে অবশ্যই লাভ নেবেন। সঙ্গে সঙ্গে আপনারা শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন, এটা অব্যাহত রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরাই তো আপনাদের কারখানা চালু রাখে। আপনারা যা কিছু উপার্জন করেন, এই শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে।’

শ্রমিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি জীবন-জীবিকার সুযোগ পাচ্ছেন, অর্থ উপার্জন করছেন। সেই প্রতিষ্ঠান যেন ভালোভাবে চলতে পারে, বাইরের কারও উসকানিতে কোনো রকম দুর্ঘটনা যেন সেখানে না ঘটে, সেটা বিশেষভাবে দেখতে হবে সবাইকে।’

রপ্তানি পণ্য বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন রপ্তানি বাজার খোঁজা এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সৃষ্টির তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো পণ্য রপ্তানির জন্য ভালো গন্তব্য হতে পারে। সেখানে বিশাল বাজার রয়েছে।