Thank you for trying Sticky AMP!!

সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে উদ্ধার ৩০

কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় দুজন দালালকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা রোহিঙ্গা নাগরিকদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ১৭ নারী ও ৭ শিশু রয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই দালাল হলেন উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরার হাবিব উল্লাহর ছেলে মহিবুল্লাহ (২০) ও হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়ার আবদুল করিমের ছেলে মো. হুমায়ুন (১৮)।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর ও বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো.আছাদুদ জামান চৌধুরী বলেন, একটি মানব পাচার চক্রের সদস্যরা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির থেকে কিছু লোকজন সংগ্রহ করে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন। বিজিবি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর ও বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকায় টহল জোরদার করে। পৃথক দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।

বিজিবির কর্মকর্তা বলেন, উদ্ধার করা রোহিঙ্গা নাগরিকেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দালালের মাধ্যমে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা বলেন। এ জন্য তাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে এনে জড়ো করা হয়।

বিজিবির হেফাজতে থাকা রোহিঙ্গা নারী ছেহেনা আক্তার বলেন, মুঠোফোনে তাঁর সঙ্গে একজন রোহিঙ্গা যুবকের বিয়ে হয়েছে। ওই যুবক পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। স্বামীর কাছে চলে যেতে দালালের মাধ্যমে চুক্তি হয়েছে। তবে কত টাকার বিনিময়ে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার করা রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিজিবির সহায়তায় রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গ্রেপ্তার দুই দালালের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।