Thank you for trying Sticky AMP!!

সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সগুলো চলছে না

জ্বালানি তেলের অভাবে মেহেরপুরে ২৫০ শয্যার মেহেরপুর সদর হাসপাতালসহ মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ আছে। এতে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্বিগুণের বেশি টাকা খরচ করে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে রোগীদের জেলার বাইরে নিতে হচ্ছে।
মেহেরপুর সদর হাসপাতাল সূত্র জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অর্থ ছাড় না পাওয়ায় গত ১ জুলাই থেকে অ্যাম্বুলেন্সের জ্বালানি তেল বাবদ সরকারি বরাদ্দ বন্ধ আছে। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য বছরে ১০ লাখ টাকার চাহিদাপত্র দেওয়া হলেও পাওয়া যেত পাঁচ লাখ টাকা। তখন বাকিতে জ্বালানি নেওয়া হতো। পরে বরাদ্দ পেলে ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করা হতো। কিন্তু এখন চাহিদাপত্র দিয়েও টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। বকেয়া বেশি হওয়ায় পেট্রলপাম্প মালিকেরা তেল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই জ্বালানি তেলের অভাবে জেলার পাঁচটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ আছে। এর মধ্যে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে দুটি, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি এবং মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি অ্যাম্বুলেন্স আছে।
সদর হাসপাতালের সুপার মিজানুর রহমান বলেন, জ্বালানি তেল কেনা বাবদ বকেয়া নয় লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
সদর হাসপাতালে গেলে সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের লোকমান হোসেন বলেন, গ্রাম্য মারামারিতে তাঁর ভাই আবু হোসেন (৩৯) গুরুতর জখম হয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা জরুরি ভিত্তিতে রোগীকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া না পাওয়ায় ১৬ হাজার টাকা দিয়ে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে হয়েছে। অথচ সরকারিটা ভাড়া নিলে সাত হাজার টাকা লাগত বলে জানান তিনি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মারুফ হাসান বলেন, জ্বালানি তেলের ছয় লক্ষাধিক টাকা বকেয়া আছে। এ হাসপাতালের দুটি অ্যাম্বুলেন্স ৪০-৪৫ দিন ধরে বন্ধ। বরাদ্দের জন্য তাঁরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বারবার আবেদন করেছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন মুজিবুল হক বলেন, তিনি এখানে নতুন এসেছেন। জেলার তিনটি হাসপাতালের জ্বালানি তেল কেনা বাবদ প্রায় ১৯ লাখ টাকা বকেয়া পড়েছে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (অর্থ) অজয় ঘোষ মুঠোফোনে বলেন, অর্থ ছাড়ে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের পর থেকে বরাদ্দ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।