Thank you for trying Sticky AMP!!

সরকার দেশকে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার মাধ্যমে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ করে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে দেশকে বিশ্বে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চ্যুয়ালি এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা অন্যের সহায়তা না নিয়ে আর্থসামাজিকভাবে স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার যে স্বপ্ন, যে চেতনায় আমার লাখো শহীদ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছেন, তাঁদের ও আমার লাখো মা-বোনের সেই আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেই আমরা এই বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। আমরা কেন অন্যের কাছে হাত পেতে, মাথা নিচু করে চলব? কিন্তু ’৭৫-এর পর আমরা সেই সম্ভাবনা ও অধিকার হারিয়েছিলাম।’

বর্তমান সরকারের পরিচালনায় বাংলাদেশ আজ তার হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত করে উন্নত সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার জন্যই আমরা আমাদের সমস্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এবং যথেষ্ট অর্জনও করেছি।’

আসন্ন শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের আগমনে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়লেও তাঁর সরকার এটা মোকাবিলায় প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে, যেন দেশের মানুষ এর থেকে সুরক্ষা পায়। এবং দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা না হারায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করেন।
সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম পরিচালনা করেন। এবং পুরস্কার বিজয়ীদের জীবনবৃত্তান্ত পড়ে শোনান।

অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুকতাদির অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

Also Read: স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী

এ বছর সরকার দুজন মরণোত্তরসহ আট ব্যক্তি ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ, চিকিৎসাবিদ্যা, সংস্কৃতি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০’-এ ভূষিত করে।

এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীরা হচ্ছেন স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের জন্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ (মরণোত্তর), বুদ্ধিজীবী মুহম্মদ আনোয়ার পাশা (মরণোত্তর) ও আজিজুর রহমান। চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ কে এম এ মুক্তাদির। সংস্কৃতিতে কালীপদ দাস ও ফেরদৌসী মজুমদার। এ ছাড়া শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমস। আজিজুর রহমান সম্প্রতি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

পুরস্কার হিসেবে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, সনদ ও ৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।