Thank you for trying Sticky AMP!!

সাঁকো দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে

বছর দুই আগে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় কেউ এটি ব্যবহার করতে পারছে না। সংযোগ সড়কের স্থানে বাঁশের সাঁকো বানানো হয়েছে। সেটি দিয়ে উঠতে হয় সেতুতে। এভাবে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জাজিরা উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর থেকে পালেরচর হাট পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার পাকা সড়ক। এ সড়কের মালকান্দি এলাকায় খালের ওপর ২০১১ সালে ৩০ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুর দুই প্রান্তে মোট ৩০০ মিটার কাঁচা রাস্তা রয়েছে। এই কাঁচা রাস্তাটুকু পাকাকরণ, অর্থাৎ সংযোগ সড়ক করা হয়নি। এতে সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পালেরচর, বড়কান্দি ও কুণ্ডেরচর ইউনিয়নের মানুষজন উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করে। সেতুটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় কোনো যানবাহন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে না। স্থানীয় লোকজন সংযোগ সড়কের স্থানে, সেতুটির উত্তর পাশে একটি বাঁশের সাঁকো বানিয়েছে। সেই সাঁকো দিয়ে সেতুতে ওঠে তারা। সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য জাজিরা এলজিইডি থেকে একটি প্রকল্প প্রস্তাব জেলা কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। গত বছরের জুলাইতে জেলা কার্যালয়ে প্রকল্প প্রস্তাবটি জমা দেওয়া হয়। সেতুর দুই প্রান্তে ৩০০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।মালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আবু আলেম মাল বলেন, ‘সেতুর দুই পাশে খালের অংশ। এটি মাটি দিয়ে ভরাট করে মূল সড়কের সঙ্গে যুক্ত করে দিলে যাতায়াত করতে পারব। এখন হেঁটে সেতু পার হতে হয়।’শরীয়তপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, সেতুটি ২০ মিটার করার কথা ছিল। খাল বড় হওয়ায় সংযোগ সড়কের টাকা কেটে ৩০ মিটার সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ৩০০ মিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণের প্রকল্পটি শিগগির অনুমোদিত হবে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে।