Thank you for trying Sticky AMP!!

সাংবাদিকেরা বিরাগভাজন হয়ে এনআইডি নিয়ে অসত্য প্রতিবেদন করে: আইনমন্ত্রী

জাতীয় সংসদ ভবন

বিরাগভাজন হয়ে সাংবাদিকেরা জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সেবা নিয়ে অসত্য প্রতিবেদন করেন বলে মন্তব্য করেছেন সংসদকাজে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সাংসদ মোজাফ্‌ফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

মোজাফ্‌ফর হোসেন তাঁর প্রশ্নে তড়িঘড়ি করে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করতে গিয়ে বাবার নামের স্থলে মায়ের নাম, প্রকৃত নামের স্থানে অন্যজনের নাম এবং নামের বানান ভুলের কথা তুলে ধরেন। এসব সংশোধনী নিয়ে হয়রানির শেষ নেই উল্লেখ করে নির্ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র জনগণ যাতে পায়, তার সুব্যবস্থা হবে কি না, জানতে চান।

এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ে পরিলক্ষিত ভুলসমূহের বিষয়ে আইন ও বিধি অনুসারে নির্বাচন কমিশন সংশোধনের সুযোগ দিলেও অজ্ঞতা ও অসচেতনতার কারণে অনেকেই যথাসময়ে সেই সেবা গ্রহণ করেনি।

ফলে, জাতীয় পরিচয়পত্রে লিপিবদ্ধ তথ্যাদির ক্ষেত্রে এখনো কিছু ভুল বিদ্যমান। তবে সংশোধনের জন্য প্রাপ্ত আবেদনসমূহে চাওয়া দাবি অনেক ক্ষেত্রে অযৌক্তিক ও বাস্তবতাবিবর্জিত। ফলে, ওই সব আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে যথাযথ প্রমাণপত্র/দলিলাদি দাখিলসহ ক্ষেত্রবিশেষ তদন্ত, পুনঃ তদন্তের প্রয়োজন পড়ে। এসব আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার উদ্ভব ঘটে এবং দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। এ কারণে বিশেষ করে সাংবাদিক মহল বিরাগভাজন হয় এবং এ–সংক্রান্ত সেবা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে, যা সম্পূর্ণ সত্য নয়।’

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয়সংখ্যক দক্ষ টেকনিক্যাল জনবল না থাকায় এবং সময়স্বল্পতার কারণে প্রাথমিক পর্যায় কিছু ভুলভ্রান্তি রয়ে যায়, যার অধিকাংশই বানানজনিত ভুল।

মন্ত্রী বলেন, জন্মতারিখ সংশোধন/পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নাগরিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এনআইডিতে মুদ্রণ ভুল হলে ও আবেদনকারীর চাওয়া তথ্য নিবন্ধন ফরম অনুযায়ী সঠিক থাকলে (যত বছরের পার্থক্যই হোক) এবং যাঁদের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষাগত সনদ আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে সংশোধন হয়ে থাকে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, কিছু কিছু নাগরিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে জন্মতারিখ পরিবর্তন করতে আবেদন করে থাকেন, যা একেবারেই অযৌক্তিক। একই ব্যক্তি নিবন্ধনকালে একটি জন্মতারিখ দেন, আবার সংশোধনের জন্য ভিন্ন জন্মতারিখ উল্লেখিত জন্মসনদ/উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়/কারিগরি/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সনদ জমা দিয়ে জন্মতারিখের পরিবর্তন চান, যা সংশোধনের ক্ষেত্রে জটিলতার সৃষ্টি করে এবং ওই সনদে উল্লেখিত বয়সের সঙ্গে ব্যক্তির বাস্তবিক বয়সের মিল থাকে না।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, চাকরি বেতন ও ভাতাদি আদেশ ২০১৫ অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন নির্ধারণ/বেতন প্রাপ্তিতে এনআইডির তথ্যাদির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কতিপয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্র আমলে না নিয়ে শুধু জন্মসনদের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করছে।

বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধন আবেদন ঘরে বসে অনলাইনে করার পাশাপাশি ঘরে বসেই প্রিন্ট দিয়ে পরিচয়পত্র গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।