Thank you for trying Sticky AMP!!

সাতক্ষীরায় করোনায় দুজন ও উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু

করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও করোনা উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আরও একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত ৬৪ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ২৮৮ জন। জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয়ন্ত সরকার জানান, মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত জেলায় ১৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫০ জন। জেলায় শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। চলতি মাসে এটিই সব৴নিম্ন শনাক্তের হার। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ছিল ৪৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন হুসাইন সাফায়াত জানান, সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। প্রতিদিনই শনাক্তের হার ওঠানামা করেছে। শনাক্তের হার আজ কিছুটা কম হলেও মোট শনাক্ত তিন হাজার ছাড়িয়ে গেল। হাসপাতালে করোনা রোগীর ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে। বাড়তি রোগীর চাপ সামাল দিতে হাসপাতাল কতৃ৴পক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা জানান, বত৴মানে ২৫০ শয্যার বিপরীতে রোগী রয়েছেন ২৬২ জন। এর মধ্যে ২৩ জন করোনা পজিটিভ রোগী। অন্যরা করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। ইতিমধ্যে শয্যার অভাবে অনেক রোগীকে মেঝেতেও রাখতে হচ্ছে।

এদিকে সাতক্ষীরায় লকডাউনের ১৯তম দিন চলছে। তিন দিন ধরে সাতক্ষীরা শহরে চলমান লকডাউনে অনেকটা ঢিলেঢালাভাব দেখা গেছে। শহরের প্রধান সড়কের বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে। সড়কে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসের পাশাপাশি ট্রাকও চলতে দেখা যাচ্ছে। ইজিবাইক, ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ও মোটরসাইকেল অবাধে চলাচল করছে। বাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদাসীনতা দেখা গেছে।