Thank you for trying Sticky AMP!!

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ

দোকানের সামনে গোলচিহ্নিত স্থানে দাঁড়িয়ে কেনাকাটার জন্য অপেক্ষা। খামারপাড়া বাজার, শ্রীপুর, মাগুরা, ২৬ মার্চ। ছবি: প্রথম আলো।

দোকানের সামনে অন্তত তিন ফুট দূরে দূরে গোলচিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়েছে। ক্রেতারা এসে এসব চিহ্নত স্থানে দাঁড়াচ্ছেন। সামনের ব্যক্তিটি কেনাকাটা সেরে গোলচিহ্নিত স্থান ত্যাগ করছেন। ততক্ষণ পেছনের ব্যক্তিটি তিন ফুট পেছনে থাকা গোলচিহ্নিত স্থানে অপেক্ষা করছেন। সামনের জন স্থান ত্যাগ করলেই কেবল পেছনের জন এগিয়ে গিয়ে কেনাকাটা শুরু করতে পারছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলায় এই ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীপুর উপজেলা শহরের বাজার ও খামারপাড়া বাজারে এই কার্যক্রম চালানো হয়। এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসিন কবির বলেন, ‘হাটবাজার উন্মুক্ত একটা স্থান। এমন জায়গায় মানুষ নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এর কার্যকারিতা নির্ভর করছে মানুষের সচেতনতার ওপর।’

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশের মতো মাগুরাতেও দোকানপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে খাদ্যপণ্য ও ওষুধের মতো সামগ্রীর প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিকল্প নেই। সেখানেও ঘটতে পারে বিপত্তি। তাই উপজেলা প্রশাসন পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তাদের লোকজন আজ সকালে ওই দুই বাজারে যান। তাঁরা বিভিন্ন দোকানপাটের সামনে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে গোল চিহ্ন এঁকে দেন। দোকানে কেনাকাটা করতে আসা লোকজনকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে এসব গোল চিহ্নের ভেতরে দাঁড়াতে বলা হয়। সামনের ব্যক্তিটি কেনাকাটা শেষে স্থান ত্যাগ করলেই কেবল পেছনের গোলচিহ্নিত স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি এগিয়ে যান। তিনি সামনের গোলচিহ্নিত স্থানে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা শুরু করেন। তখন তাঁর ছেড়ে আসা গোলচিহ্নিত স্থানে দাঁড়ান পেছনের আরেকজন। এতে কেউ কারও সংস্পর্শে আসতে পারছেন না।

আজ একই রকম কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে মাগুরা শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও। সদরের ইউএনও আবু সুফিয়ান বলেন, বিশেষ করে ওষুধের দোকানগুলোর সামনে লোকজন গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছেন। এ বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়েছে। তাঁরা এই নির্দেশনা না মানলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার গুরুত্ব বোঝাতে এবং এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানান তিনি।