Thank you for trying Sticky AMP!!

সালমান শাহর অপমৃত্যু মামলায় চিকিৎসক-ডোমকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

চিত্রনায়ক সালমান শাহ। ফাইল ছবি

চিত্রনায়ক সালমান শাহর ‘অপমৃত্যু’ মামলায় যে চিকিৎসক সালমান শাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছিলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সালমান শাহর মৃত্যুর পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট ডোমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই মামলার তদন্তের স্বার্থেই সালমান শাহকে যে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়ে একটি আবেদন করি। সালমান শাহর মৃত্যুর পর তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে নেওয়া হয়। তখন যে ডোম ছিলেন, তদন্তের সার্থে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাই। আদালত দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন।’
তবে কোন চিকিৎসক সালমান শাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছিলেন, সেই চিকিৎসকের নাম এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন সিরাজুল ইসলাম।

সালমান শাহর আইনজীবী ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সালমান শাহ যেদিন মারা যান, সেদিন রুবি নামের এক নারী ইস্কাটনের ক্লাব ও মেডিকেল সেন্টারের একজন চিকিৎসককে সালমান শাহের বাসায় নিয়ে আসেন। ওই চিকিৎসক দেখে বলেন, সালমান শাহ মারা গেছেন। সেখানে ওই চিকিৎসক সালমান শাহ মারা গেছেন জানিয়ে সনদও দেন। ফারুক আহমেদ জানান, রুবি এই মামলার একজন আসামি।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ স্ত্রীকে নিয়ে ইস্কাটনের একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। ঘটনার দিন প্রথমে তাঁকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর নিউ ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ভাড়া বাসায় পাওয়া যায় অভিনেতা সালমান শাহর লাশ। স্ত্রী সামিরা হক পুলিশকে জানান, সকালবেলা ড্রেসিংরুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমানকে তাঁরা শনাক্ত করে দেহটি নামিয়ে আনেন। বাংলা সিনেমার সে সময়ের তুমুল জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছিলেন, নাকি তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল—২০ বছরেও পুরোপুরি মীমাংসা হয়নি এ প্রশ্নের। চার দফা তদন্ত এ প্রশ্নের সর্বজনগ্রাহ্য উত্তর দিতে পারেনি। অবশেষে ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর পিবিআইকে পুনঃ তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন আদালত।