Thank you for trying Sticky AMP!!

সাড়ে চার কেজি ওজনের কাতল শিকার করে পেলেন ষাঁড়

পুকুরে বড়শি ফেলে মাছের অপেক্ষায় শৌখিন মৎস্য শিকারিরা। আজ শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়ার দেওয়ান দিঘিতে। ছবি: প্রথম আলো

কেউ এসেছেন সিলেট থেকে, কেউ কিশোরগঞ্জ, কেউবা এসেছেন নরসিংদী থেকে। সবাই পুকুরের চারপাশে ছিপ ফেলে অপেক্ষায় আছেন মাছ শিকারের। সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে তাঁদের এই অপেক্ষা। দিন শেষে সবচেয়ে বড় মাছটি শিকার করে প্রথম পুরস্কার জিতে নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল সদর উপজেলার নিপু মিয়া। তিনি ৪ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি কাতল মাছ শিকার করে পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা দামের একটি ষাঁড়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়ার দেওয়ান দিঘিতে আজ শুক্রবার দিনভর বড়শি দিয়ে শৌখিন মাছশিকারিদের এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেওয়ান দিঘি মৎস্য চাষি সমিতি নামের একটি সংগঠন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় ৪৮ জন শৌখিন মাছশিকারি অংশ নেন। তাঁরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও হবিগঞ্জ, সিলেট, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলা থেকে আসেন।

আয়োজকেরা জানান, প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রত্যেক শিকারিকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করতে হয়। প্রতিযোগীদের জন্য ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা দামের সাতটি পুরস্কার। এর মধ্যে সরাইল উপজেলা সদরের বড় দেওয়ানপাড়ার নিপু মিয়া ৪ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে প্রথম হয়েছেন। তিনি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ৫০ হাজার টাকা দামের একটি ষাঁড়। উপজেলা সদরের বণিকপাড়া গ্রামের শৈলেশ বণিক ৪ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে দ্বিতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকা দামের দুটি খাসি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের খৈয়ারশার এলাকার জীবন মিয়া ৩ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের কাতল মাছ শিকার করে তৃতীয় হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন সাড়ে ১২ হাজার টাকা দামের একটি খাসি।

বিকেলে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মাছশিকার প্রতিযোগিতা দেখতে দিঘির চারদিকে প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটে। প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন দেওয়ান দিঘি মৎস্য চাষি সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ঠাকুর।

হেলাল উদ্দিন ঠাকুর প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছর চার-পাঁচবার এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শৌখিন মৎস্য শিকারিরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পাঁচ মাস ধরে তা সম্ভব হয়নি। এবার ঈদ আনন্দ উৎসব হিসেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।