Thank you for trying Sticky AMP!!

সিইসির সভা থেকে উঠে গেলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

কে এম নুরুল হুদা ও ড. কামাল হোসেন

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক চলাকালে সেখান থেকে উঠে এসেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন অভিযোগ জানাতে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা অভিযোগ করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ‘আচরণ’ দেখে এবং অভিযোগ শুনতে অনীহার কারণে তাঁরা সভা ত্যাগ করেন।

সভা থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘সারা দেশে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের হত্যা, আক্রমণ ও অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। পুলিশ বিরোধী দলের ওপর চড়াও হচ্ছে। বিষয়গুলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানিয়েছি। কিন্তু তাঁর আচরণ দেখে মনে হয়েছে, তিনি এতে গুরুত্ব দেননি। এসব বিষয়ে তিনি গুরুত্ব দেখাননি। এমন আচরণ করেছেন যেন আমরা মিথ্যা অভিযোগ করেছি। এ অবস্থায় আমরা সভা বর্জন করে সেখান থেকে উঠে এসেছি।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১০ জন নেতা আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে করতে যান। বৈঠকের একপর্যায়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা সভা ত্যাগ করে উঠে আসনে।

এ বিষয়ে সিইসি ও ইসি সচিবের কাছে জানতে চাইলে তাঁরা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আসলে সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছেন। নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু হবে, তার জবাব জাতির কাছে এসে গেছে। ঢাকা শহর দেখে মনে হচ্ছে না দেশে নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচন সাংবিধানিক ধারা রক্ষার নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের উদ্দ্যেশ কী?

নির্বাচন থেকে সরে আসবেন কি না—এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। তবে আমরা সরকারকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ সর্বত্র লাঠিয়াল বাহিনীর কাজ করছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বিষয়টি আমরা বলার পর তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। আমরা তাঁকে বলেছি, সাংবাদিকেরা ভালোভাবে চলাফেরা করলে জনগণের লাভ হতো, সেটা বন্ধ করে দিয়েছেন। মনে হচ্ছে উনি ওপরের কারও নির্দেশে চলছেন। অভিযোগ জানানোর সময় আমরা ভেবেছিলাম সিইসি সহানুভূতি দেখাবেন। কিন্তু তিনি তাঁর ধারেকাছেও গেলেন না। উল্টো পুলিশের পক্ষ নিলেন।’

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেনাবাহিনী ইসির নিয়ন্ত্রণে। তাদের বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের ক্যাম্পে রেখে পুলিশ তাণ্ডব চালাচ্ছে। এসব করে সেনাবাহিনীকে হেয় করা হচ্ছে।

সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ ড. কামাল হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় প্রমুখ।